সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আফগানিস্তানকেও কাছে টেনে নিল চিন-পাকিস্তান! জানা গিয়েছে, চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর এবার পৌঁছে যাবে আফগানিস্তানেও। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। সেখানে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং পাক বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তারপরেই জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানেও CPECকে পৌঁছে দিতে রাজি হয়েছেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী।
অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম বিদেশ সফরেই চিনে গিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। সোমবার চিনে পৌঁছেই চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইশাক দার। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার চিনে পৌঁছন আফগানিস্তানের কার্যকরী বিদেশমন্ত্রী। ওইদিন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয় বেজিংয়ে। সুরক্ষাক্ষেত্রে তিন দেশের সহযোগিতা এবং ভারত-পাক সংঘাতের আবহে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল।
সেই বৈঠকের পরদিন অর্থাৎ বুধবার পাক বিদেশমন্ত্রক থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, আঞ্চলিক সুরক্ষা, স্থিতাবস্থা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে একজোট থাকবে চিন, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি এবং যোগাযোগ আরও দৃঢ় করে বাণিজ্য এবং উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডর পৌঁছে যাবে আফগানিস্তানেও।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পাকিস্তানে পরিকাঠামো নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প শুরু করে চিন। ওই প্রকল্পের অন্তর্গত তৈরি একটি সড়ক গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। আর তাতেই ঘোর আপত্তি ভারতের। এহেন পদক্ষেপ দেশের সর্বভৌমত্বে আঘাত বলেই স্পষ্ট বয়ান নয়াদিল্লির। দীর্ঘদিন ধরে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা করেছে ‘আফগানিস্তানের বন্ধু’ বালোচিস্তানও। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলকে চমকে দিয়ে চিনের এই প্রকল্পে রাজি হয়েছে আফগানিস্তান। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভারতের সঙ্গে কাবুলের সম্পর্কে চিড় ধরল? কয়েকদিন আগেই তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন এস জয়শংকর। তাতেও কি লাভ হল না? উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.