সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে আনলাকি থার্টিন। চিনের ক্ষেত্রে সেটাই প্রমাণিত হল। শাপমোচন তো হলই না। উলটে ১৩ এপ্রিলের পর ১৩ জুন অর্থাৎ গতকালই সর্বাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেন সে দেশে। যাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
শনিবারই রাজধানী বেজিংয়ে নতুন করে ৬ জন বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাস (Coronavirus) পাওয়া যায়। তারপরই শি জিংপিং সরকার বেজিংয়ের একাংশে ফের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক তার পরের দিনই চিনে সংক্রমণ অনেকটাই বাড়ল। রবিবার চিনের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে দেওয়া রিপোর্ট বলছে, ১৩ জুন মোট ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৯ জনের শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। গত ১৩ এপ্রিলের পর এই প্রথম একদিনে একজন সংক্রমিত। যা নতুন করে চিন্তায় ফেলছে চিনকে।
একটি বিবৃতি দিয়ে চিনের স্বাস্থ্য কমিশন জানাচ্ছে, ৩৮টি কোভিড পজিটিভ কেসের ক্ষেত্রে লোকাল ট্রান্সমিশন বা স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ ঘটেছে। বাকি ১৯ জন বাইরে থেকে এই ভাইরাস এনেছেন বলে ধারণা। ৫৪ জনের মধ্যে ৩৬ জনই বেজিংয়ের বাসিন্দা। অর্থাৎ রাজধানীতে শুক্রবার ৬ জন থেকে শনিবার আক্রান্ত বেড়ে সোজা ৩৬। শনিবারই জানা গিয়েছিল, দক্ষিণ বেজিংয়ের ফেংতাই জেলার ১১টি এলাকার বাসিন্দাদের চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ। বন্ধ খেলাধুলোও। জিনফাদি মার্কেট থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মনে করা হয়। সেখানে তাই মাস-টেস্টিং শুরু হয়। তারপর থেকেই সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার প্রায় দু’মাস পর বেজিংয়ে করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। আর দু’দিনেই সেখানে লাফিয়ে বাড়ল সংক্রমণ। করোনার কামড় ভুলে যখন একপ্রকার স্বাভাবিক ছন্দেই ফিরে গিয়েছিল চিন, ঠিক তখনই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াল এই নয়া পরিসংখ্যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.