সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) পা দিয়েছে সাত দিনে। ইতিমধ্যেই মস্কোর উপরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও পূর্ব ইউরোপের বহু দেশই। কিন্তু সেই রাস্তায় স্বাভাবিক ভাবেই হাঁটতে রাজি নয় চিন (China)। এদিন বেজিংয়ের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, তারা পুতিনের দেশের উপরে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপাতে রাজি নয়।
ঠিক কী জানিয়েছে চিন? বুধবার সেদেশের সরকারি ব্যাংকিং ও বিমা পরিষেবা কমিশনের চেয়ারম্যান গুয়ো সুকিং জানিয়েছেন, ”আমরা কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছি না। একেবারেই স্বাভাবিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক লেনদেনই চলবে।”
কিন্তু কেন কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করবে না চিন? সেপ্রসঙ্গে তাদের যুক্তি, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা একতরফা। এর কোনও আইনি ভিত্তি নেই। তাই আমেরিকা কিংবা পূর্ব ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে এক পথে হাঁটতে রাজি নয় তারা। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে একথা জানা যাচ্ছে।
চিনের এহেন পদক্ষেপ প্রত্যাশিতই ছিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করে আমেরিকা। সেই প্রস্তাবের পক্ষ ভোটদানে বিরত থাকে ভারত, চিন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সেই পদক্ষেপ থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের বিরোধিতার পথে হাঁটবে না চিন। এইদিনের ঘোষণা থেকে তা আবারও পরিষ্কার হয়ে গেল।
প্রায় পাঁচদিন ধরে চলা ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ থামার নাম নেই। ন্যাটো ও মস্কোর হুঙ্কারে পরিস্থিতি ক্রমে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে। এহেন অবস্থায় কোন দেশের কী অবস্থান সেদিকে নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যেই পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বুধবার হুঁশিয়ারি দিলেন, যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধে তবে তা হবে পরমাণু যুদ্ধ ও ধ্বংসাত্মক। এই হুঁশিয়ারি ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন সারা বিশ্বেরই শান্তিকামী মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.