সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ (Galwan Valley) থেকে ভালই শিক্ষা নিয়েছে চিন। সেনাদের শারীরিক শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা টের পেয়েছে তারা। তাই তিব্বতে মোতায়েন চিন সেনাদের মার্শাল আর্ট শেখাতে পাঠানো হচ্ছে ২০ জন প্রশিক্ষক। যদিও ভারতীয় সীমান্তে মোতায়েন লালফৌজকেও মার্শাল আর্ট (Martial Art) শেখানো হবে কি না, তা নিয়ে মুখ খোলেনি চিনের সংবাদমাধ্যম।
চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তিব্বতের লাসায় পাঠানো হবে ২০ জন মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষককে। তাঁরা সেখানে থেকে চিন সেনাদের শেখাবেন তাইকোন্ডো, কুং ফু’র কায়দাকানুন। এই খবর প্রকাশের পর অনেকে মনে করছেন, আসলে গালওয়ানের সংঘর্ষ থেকে শিক্ষা নিয়েই লালফৌজকে মার্শাল আর্ট শেখানোর পরিকল্পনা করেছে জিনপিং সরকার। কারণ, ১৯৬৬-র ভারত-চিন চুক্তি অনুযায়ী, ওই সীমান্ত এলাকায় কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না দু’দেশের সেনা। স্রেফ শারীরিক শক্তির লড়াই হবে। অস্ত্র হতে পারে ইট, পাটকেল।
কিন্তু ১৫ জুন বা তার পরবর্তী সময়ে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সেনার মধ্যে সংঘর্ষে এদেশের ২০ জন শহিদ হওয়ার পর তাঁদের ক্ষতবিক্ষত মুখ দেখে বোঝা গিয়েছিল, শুধু পাথর বা ইটের আঘাত নয়, ভারতীয় সেনাকে পর্যুদস্ত করতে অন্য কিছু ব্যবহার করেছে লালফৌজ। পরে জানা যায়, কাঁটা লাগানো লাঠি নিক্ষেপ করা হয়েছিল ভারতীয়দের দিকে তাক করে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পালটা আঘাতে অবশ্য পিছু হঠেছিল চিন সেনা। সেইসঙ্গে বুঝেও গিয়েছিল, শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। সেই উদ্দেশ্যেই কি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের উদ্যোগ? এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে চিনা সংবাদমাধ্যমও। এই নীরবতাতেই জোরদার হচ্ছে জল্পনা। পৃথিবীর অন্যতম উচ্চ পার্বত্য এলাকার ‘বিতর্কিত’ ভূখণ্ড দখলে রাখতে লালফৌজকে লৌহকঠিন করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত জিনপিংয়ের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.