সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্মম অত্যাচারের কাহিনী ফাঁস হতেই বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশই চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও প্রতিবাদ শোনা যায়নি পাকিস্তানের তরফে। বরং একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রিয় বন্ধু চিনের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করবে না ইসলামবাদ। তারই পুরস্কার হিসেবে এবার পাকিস্তানকে মুসলিম বিশ্বের দেশগুলিকে নেতা বানাতে চাইছে জিনপিং প্রশাসন। এর ফলে নিজেদের কুকীর্তির উপর পর্দা টানা যাবে বলেও তাদের ধারণা।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিন (China) চাইছে পৃথিবীর একমাত্র পরমাণু শক্তিধর মুসলিম রাষ্ট হিসেবে পাকিস্তানই হোক ইসলামিক দেশগুলির প্রধান। তাদের নির্দেশেই পরিচালিত হোক মুসলিম দুনিয়া (Muslim world)। এই জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপও নিচ্ছে তারা। এই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পুরনো সম্পর্কের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুদান দিচ্ছে। এমনকী নানা প্রকল্পে মূলধনও বিনিয়োগ করছে। পুরনো অনেক সঙ্গীর হাত ছেড়ে তৈরি করছে নতুন নতুন সম্পর্ক।
এই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই ইরানে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। এর জন্য তেহেরানের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তিও হয়েছে জিনপিং প্রশাসনের। এভাবেই মার্কিন বিরোধী মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়ে আলাদা একটি অক্ষ তৈরি করতে চাইছে তারা। যাতে পাকিস্তানকে নেতা বানিয়ে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী মুসলিম বিশ্বকে পরিচালনা করতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের উসকানিতেই সম্প্রতি সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তার আগে বেজিংয়ের নির্দেশেই মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত মুসলিম দেশগুলির আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে বেরিয়ে এসেছিল পাকিস্তান। কারণ সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর অত্যাচারের জন্য চিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বেশিরভাগ ইসলামিক দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.