সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কমিউনিস্ট আদর্শের জয়গান গাইলেও এককালের নাৎসি জার্মানির মতোই আচরণ করছে চিন। বন্দুকের জোরে আগ্রাসন চালিয়ে আক্রান্ত হওয়ার অভিনয় করে ফের সুর চড়িয়েছে বেজিং। সিকিমে দোকা লা সীমান্তে লালফৌজের আগ্রাসী মনোভাবে ক্রমশ সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে এশিয়ার দুই মহাশক্তি। এমনই পরিস্থিতিতে ফের হুমকি দিয়েছে চিন। বিতর্কিত জমি থেকে ভারত সেনা প্রত্যাহার না করলে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হবে বলে হুমকি দিল চিনা বিদেশমন্ত্রক। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে ভুটানের মতো দুর্বল একটি দেশের জমি দখল করে বিশ্বে ‘আগ্রাসনকারী’ দেশ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চায় না চিন। অথচ কৌশলগত দিকে ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে দোকা লা দখল করা চাই। তাই সহজ পন্থা অবলম্বন করে ভারতের ঘাড়েই দোষ চাপাচ্ছে সে দেশ।
[অরুণাচল সীমান্তের কাছে লালফৌজের মহড়া, উদ্বিগ্ন দিল্লি]
দোকা লা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনা চালানো হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিল বেজিং। এক বিবৃতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে আগ্রাসনের জন্য তিরস্কৃত হয়েছে ভারত। দোকা লা বিবাদে চিনকে সমর্থন জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। তবে কোনও দেশের নাম করেননি তিনি। এছাড়াও, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা জানিয়েছেন চিনের তরফ থেকে এখনও কোনও বার্তা মেলেনি। চিনের রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে হুমকির সুরে বলা হয়েছে যে ভারত যদি আগ্রাসন না থামায় তাহলে পুরোদমে যুদ্ধে চালাবে কমিউনিস্ট দেশটি। এবং এর ফল ভুগতে হবে ভারতকে।
[বহাল তবিয়তে আছেন বাগদাদি, রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য]
উল্লেখ্য, ভারতের উপর চাপ বাড়াতে তিব্বতে বিশাল মহড়া করেছে চিন। ওই মহড়ায় ‘অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক’ গ্রেনেড, বাঙ্কার-বিধ্বংসী মিসাইল, ও বিমান-বিধ্বংসী কামানের বিস্তর ব্যবহার করেছে চিনা সেনা। তবে শুধু সীমান্তে নয় ভারতে অভ্যন্তরে অশান্তি উসকে দিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিচ্ছে বেজিং। সম্প্রতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। উপত্যকায় অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে চিন বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতেও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত জোগাচ্ছে চিন, বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সিকিম সীমান্তে দিল্লি-বেজিং দ্বৈরথ নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন কূটনীতিবিদ জানিয়েছেন, বেজিংয়ের বোঝা উচিত নয়াদিল্লি এখন একটা সম্ভ্রম জাগানো শক্তি। একইসঙ্গে, তিনি এ-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন, চিনের ব্যবহার ও একতরফা সিদ্ধান্তের ফলে ওই অঞ্চল অনেকেই অসন্তুষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.