সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) মোতায়েন হবে ক্ষেপণাস্ত্র। আর তাই সেখানে মিসাইল সাইট (Missile site) তৈরি করছে ইসলামাবাদ। নেপথ্যে রয়েছে চিনের মদত। রীতিমতো লালফৌজের কড়া নজরদারিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নির্মাণকার্য চলছে। এমনকী, বেজিং থেকে ইঞ্জিনিয়াররাও হাজির হয়েছে বলে খবর।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চিনা (China) ও পাকিস্তানি ফৌজ যৌথভাবে টহল দিচ্ছে। লালফৌজের নজরদারিতেই লাসদানা ধকের কাছে পাউলি পীর এলাকায় ভূমি থেকে আকাশের ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর তোরজোর চলছে। শুধু এই এলাকায় নয়, লাইন অফ কন্ট্রোলের ওপাড়ে একাধিক এলাকায় নির্মাণকার্য চলছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ১২০-১৩০ জন পাকিস্তানি জওয়ানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন ২০-৪০ জন সাধারণ নাগরিক। এই মিসাইলের কন্ট্রোলরুম থাকবে বিদেল বাগ এলাকায়। দায়িত্বে থাকবেন ১০ জন চিনা জওয়ান ও ৩ জন চিনা আধিকারিক। এছাড়াও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দেওলিনা ও জুরা এলাকাতেও পাক সেনার তৎপরতা চোখে পড়েছে। চলছে সামরিক নির্মাণও।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র সামরিক নির্মাণ নয়, জাগলোট থেকে গৌরি কোট পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হচ্ছে। যেটা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গুলতারি পর্যন্ত বিস্তৃত করা হবে। এই রাস্তা তৈরির তত্ত্বাবধানে রয়েছে চিনা ইঞ্জিনিয়াররা। পাশপাশি, চিনা সমরিক অস্ত্রেও বলীয়ান হচ্ছে পাকিস্তান। চিনা সংস্থার থেকে বেশকিছু হেক্সাকপ্টার কিনেছে ইসলামাবাদ। মূলত চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের উপর নজর রাখতেই এগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে খবর। শুধু হেক্সাকপ্টার নয়, চিন পাকিস্তানি সেনাদের আগ্নেয়াস্ত্রও সরবরাহ করছে।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, লাদাখের পূর্বপ্রান্তে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি চিন। ভারতীয় সেনার তৎপরতায় তাঁদের নাভিশ্বাস উঠেছে। তাই এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর সামরিক সজ্জা বাড়িয়ে ভারতের উপর চাপ তৈরি করতে চাইছে চিন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে একইসময় যুদ্ধ চালাতে ভারত প্রস্তুত বলে হুঙ্কার দিয়ে রেখেছেন বায়ুসেনা প্রধান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.