সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই উত্তেজনা বাড়ছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) বন্দরে ভিড়তে চাওয়া চিনা (China) জাহাজকে ঘিরে। গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’-এর শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে আসার কথা আগামী বৃহস্পতিবারই। কিন্তু কলম্বো ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির চাপে পড়ে ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’-এর হাম্বানটোটা সফর অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে। কিন্তু সেই অনুরোধে কাজ হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার দিকে এগিয়েই চলেছে বেজিংয়ের জাহাজটি। মনে করা হচ্ছে, ২৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এগতে থাকা ওই জাহাজ পূর্ব নির্ধারিত দিন, অর্থাৎ ১১ তারিখ সকালেই হাম্বানটোটায় পৌঁছে যাবে।
জাহাজটির আসার কথা জানার পরই প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ”দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রভাব ফেলতে পারে যে বিষয়গুলি সেগুলির দিকে সব সময় নজর রেখে চলে সরকার।” তাঁর বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, শ্রীলঙ্কার বন্দরের দিকে নজর রাখবে ভারত।
২০০৭ সালে নির্মিত ১১ হাজার টনের ওই নজরদারি জাহাজটি জিয়াংইন বন্দর থেকে সেটি দক্ষিণ চিন সাগরের অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিল। উপগ্রহের উপর নজরদারির কাজে ব্যবহৃত ওই জাহাজটিকে কিছু দিনের জন্য পোতাশ্রয় হিসাবে, হাম্বানটোটা বন্দরকে ব্যবহার করতে দিতে জুলাইয়ের গোড়ায় শ্রীলঙ্কাকে অনুরোধ জানিয়েছিল বেজিং। তাতে প্রাথমিক সম্মতিও মিলেছিল। কিন্তু এরপরই পরিস্থিতি বদলায়। কার্যত ভারতের চাপে পড়েই বেজিংকে বার্তা দেয় কলম্বো।
৭৫০ কিমি এলাকায় বায়বীয় নজরদারি চালাবার ক্ষমতা রয়েছে জাহাজটির। সুতরাং চাইলেই ওই জাহাজ ভারতীয় সীমান্তে থাকা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র এবং কালাপাক্কাম ও কুডানকুলাম অঞ্চলের দিকে নজরদারি চালাতে পারে। পাশাপাশি কেরল, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের বন্দরগুলি সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত ওই জাহাজটি হাম্বানটোটায় এলে আশঙ্কা বাড়বে।
এই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে মুখ বন্ধ রাখলেও সোমবারই চিনের তরফে বলা হয়, ভারত যেভাবে নিরাপত্তার কথা বলে জাহাজটির শ্রীলঙ্কায় আসা আটকাতে চাইছে, সেটা অর্থহীন। সব মিলিয়ে বেজিং যে সহজে এই বিষয়ে পিছু হঠবে না তা পরিষ্কার। এখন দেখার, ভারত এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করে কিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.