সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান সংঘর্ষের পর একবছর কেটে গেলেও লাদাখে এখনও মুখোমুখি ভারত (India) ও চিনের (China) সেনা। গোগরা, দেপসাং ও হটস্প্রিং এলাকায় এখনও ভারতীয় জমিতে রয়েছে লালফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে এবার দলে দলে তিব্বতি তরুণদের সেনাবাহিনীতে শামিল করছে কমিউনিস্ট দেশটি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, লাদাখে সংঘর্ষের আবহে চিনের বিরুদ্ধে তিব্বতি শরণার্থীদের নিয়ে গঠিত কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন করে ভারত। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় মোকাবিলার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ‘স্পেশ্যাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স’-এর সদস্যরা। এরা প্রত্যেকেই তিব্বতি। যাঁরা কি না চিনের হাত থেকে বাঁচতে দলাই লামার পথ অনুসরণ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর তৈরি করা হয়েছিল এই এসএফএফ। প্যাংগং লেকের ধারে চিনের সঙ্গে সংঘাতে শহিদ হন এক তিব্বতি জওয়ানও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেই পদক্ষগয়েপ থেকেই শিক্ষা নিয়েছে চিন। তাই পাহাড়ি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতউ থাকতে এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর তিব্বতি তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে তাঁদের। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিককের মন্তব্য তুলে ধরেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাতে তিনি বলেন, “গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার বিশেষ অভিযান চালাতে তিব্বতি তরুণদের নিয়োগ করছে চিনাবাহিনী। নিয়মিত তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat) জানিয়েছেন যে লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনার অবস্থান বদল করেছে চিন। পাহাড়ি এলাকায় নিজের সৈনিকদের সীমিত প্রশিক্ষণের বিষয়টি বুঝতে পেরেছে তারা। তাই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। তব্বতে একাধিক সেনঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি সাজিয়ে তুলছে চিন। ফলে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও আপোস করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.