সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি টুইট। আর তা নিয়েই তীব্র বিতর্কের মুখে পাকিস্তানের চিনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর অথবা সাংস্কৃতিক পরামর্শদাতা ঝাং হেকিং। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাক নেটিজেনদের একাংশ।
কোন টুইট ঘিরে উত্তাল পাকিস্তানের নেটদুনিয়া? আসলে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন হেকিং। যেখানে এক চিনা যুবতীকে নাচতে দেখা যাচ্ছে। গোলাপি ক্রপ টপ ও লং স্কার্ট পরে ডান্স মুভ দেখাচ্ছেন যুবতী। এই ভিডিওর ক্যাপশনেই হেকিং লেখেন, “হিজাব খুলে ফেলো। তোমার চোখ দুটো ভাল করে দেখতে দাও।” আর এতেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন নেটাগরিকরা।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী মহিলাদের কাছে হিজাবের গুরুত্ব অনেকখানি। বুরখা ও হিজাব দিয়ে নারীর শরীর ও মুখ ঢেকে রাখার রীতিই মেনে আসা হয়। আর তাই চিনা দূতাবাসের তরফে এমন একটি টুইট থেকে রীতিমতো আগুন জ্বলে ওঠে সোশ্যাল দুনিয়ায়। ইসলামকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে হেকিংয়ের বিরুদ্ধে। এমনকী, এই ধরনের টুইট চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্কে ফাটল ধরাবে বলেও দাবি করেন কেউ কেউ।
Mr. @zhang_heqing hijab is very much part of our islamic values , ridiculing while holding a key position in Pakistan is shocking. We condemn it & demaning u to delete this tweet. Hope u will respect our vslues.@AnsarAAbbasi @TalatHussain12 @MoulanaOfficial
— Muhammad Ayaz Raja (@ayaz786raja) March 7, 2021
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তুলে এক নেটিজেন লেখেন, “এভাবে ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করলে চিন-পাক সম্পর্কের উপরও প্রভাব পড়বে। হেকিংয়ের মতো কিছু মানুষ ভুল বোঝাবুঝি তৈরির চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে চিন সরকারকেই সমস্ত খবর দিয়ে দেওয়া উচিত।” অন্য একজন আবার প্রশ্ন করেছেন, এভাবে ইসলাম ধর্মের আচার-রীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার হেকিং কে?
হেকিংকে দ্রুত টুইটটি মুছে ফেলতেও বলেন অনেকেই। একইসঙ্গে ওঠে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও। তুমুল সমালোচনা আর বিতর্কের মুখে পড়ে শেষমেশ টুইটটি ডিলিটই করে দেয় চিনা দূতাবাস।
এদিকে, সুইজারল্যান্ডে ভোটাভুটির পর ঠিক হয়, রাস্তাঘাট, ট্রেন-বাস, দোকান কিংবা রেস্তরাঁয় বুরখা ও হিজাব নিষিদ্ধ বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.