ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবহাওয়া কাছে আনল আমেরিকা-চিনকে। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) উদ্যোগে আবহাওয়া বৈঠকে ভারচুয়ালি যোগ দিতে সম্মত হলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। বুধবার বেজিং একথা জানিয়েছে। এই বৈঠকে দিল্লি থেকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। কূটনৈতিক মহলের মত, ওয়াশিংটনের মসনদে বসে আবহাওয়া বৈঠককে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেভাবে চিনের দিকে ‘বন্ধুত্বের হাত’ বাড়ালেন, তা সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
গত মাসে কোয়াডের বৈঠক থেকেই বেজিংয়ের কড়া সমালোচনা করেছিল আমেরিকা (USA)। বিশেষ করে ভারতের উপর চিনের চাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ওয়াশিংটন। একমাস পর ভিন্ন ছবি দেখা গেল আবহাওয়া (Environment) নিয়ে বাইডেনের ভারচুয়াল বৈঠকে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বুধবার জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে আবহাওয়া বৈঠকে যোগ দেবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এমনকী, আবহাওয়া নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণও দেন তিনি। বায়ুদূষণ রুখতে কার্বন ডাই অক্সাইডের (CO2)ব্যবহার একেবারেই কম করতে হবে।
২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে আমেরিকার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিল চিন। গত সপ্তাহে বেজিংয়ে এই বৈঠকে বসাতে রাজি করাতে সক্ষম হয় আমেরিকা। সাংহাইতে চিনের আবহাওয়ামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন আবহাওয়া দূত জন কেরি। কূটনৈতিক মহলের দাবি, আবহাওয়া বাঁচাতে চিন-মার্কিন একযোগে কাজ করা প্রয়োজন বলে ওই বৈঠকে বেজিংকে বোঝাতে সক্ষম হন কেরি। মূলত তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতেই জিনপিংকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ।
এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বুধবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছেন, এই বৈঠকে ২০৩০ পর্যন্ত আবহাওয়াকে কীভাবে সামলে রাখা যায়, সেই রূপরেখাই বিশ্বের ৪০ জন রাষ্ট্রনায়কের সামনে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের দাবি, আবহাওয়া বাঁচাতে ভারত বদ্ধপরিকর। এই ব্যাপারে নানান কাজ শুরু হয়েছে। মূলত, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগেই এই কাজ করছে। ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতেও আমেরিকার পাশে ছিল দিল্লি। এবারও থাকবে বলে আগাম দাবি বিদেশ মন্ত্রকের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.