সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের উৎস ও উৎপত্তি নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। কম বেশি বিশ্বের সমস্ত দেশই এই মহামারীর জন্য চিনকে (Vhina) দায়ী করছে। সেই দাবি যে অমূলক নয়, তা প্রমাণ করে এবার প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, বছর সাতেক আগেই করোনার মতো একটি ভাইরাসের নমুনা চিনের’ ইউহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’তে পাঠানো হয়েছিল চিনেরই ইউনান প্রদেশ থেকে। কিন্তু সেসময় বিষয়টিকে মোটেও গুরুত্ব দেয়নি সে দেশ।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘সানডে টাইমস’-এ করোনা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়, ২০১৩ সালেই চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরের ইউনান (Yunnan) প্রদেশে করোনার মতো একটি ভাইরাসের সন্ধান মেলে। ওই শহরের একটি পরিত্যক্ত খনিতে বাদুড়ের উৎপাত আচমকাই প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। সেই খনি থেকে বাদুড়ের মল পরিষ্কার করেছিলেন কয়েকজন কর্মী। তাঁদের মধ্যে ছ’জন তীব্র নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময়ে খনি কর্মীদের যিনি চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, সেই খনি শ্রমিকদের শরীরে হয়ত ওই বাদুড়ের থেকেই সংক্রমিত হয়েছিল কোনও রোগ। যার নমুনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইউহানের ল্যাবে। তারপর আর এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করেনি চিনের ল্যাব।
উল্লেখ্য, চিনেরই সার্স প্রজাতির ভাইরাস বিশেষজ্ঞ শি ঝেংলি পরবর্তীকালে ইউনান প্রদেশের ওই খনিতে অনুসন্ধান ও গবেষণা করেন। বাদুড় থেকে ছড়ানো ভাইরাসের উপর গবেষণা এবং বাদুড় অধ্যুষিত এলাকায় অনুসন্ধানের জন্য এই শি ঝেংলি ‘ব্যাট ওম্যান’ নামে পরিচিত। কিন্তু গত মে মাসেই ‘ইউহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’র ডিরেক্টর জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে র্যাটজি১৩ ভাইরাসের আর কোনও জীবন্ত কপি নেই। সব মিলিয়ে করোনা নিয়ে চিন যে তথ্য গোপন করছে তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.