সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শত্রু’ দেশ রাশিয়া ইতিমধ্যেই করোনার (CoronaVirus) প্রতিষেধক বাজারে এনে ফেলেছে। ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অনেকটা এগিয়েছে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকা। এমনকী চিনও ইঙ্গিত দিয়েছে নভেম্বর মাসেই তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসবে। স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছে আমেরিকার উপর। এখনও করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকা (USA)। মার্কিন মুলুকের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে ২ লক্ষের বেশি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) তাই চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব করোনার ভ্যাকসিন বাজারে এনে ভোটের (US presidential election) আগে বড়সড় চমক দিতে।
ট্রাম্প আগেই রাজ্যগুলিকে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ভ্যাকসিন বিতরণের প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু এবার তিনি যা বললেন তার অর্থ, অক্টোবরের শুরুর দিকে বা মাঝামাঝি সময়েই ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। মঙ্গলবার টাউন হলে ভোটারদের সঙ্গে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে ট্রাম্প বলেন,”আমরা ভ্যাকসিন তৈরির একেবারে দোরগোড়ায়। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটা আমাদের হাতে চলে আসবে। এই ধরুন ২ বা ৩ সপ্তাহ।” মজার কথা হল, একথা বলার কয়েক ঘণ্টা আগেই আরেক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে আর ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে। সেটাও যদি ধরে নেওয়া যায়, তাও ট্রাম্পের দাবি মতো অক্টোবরের মাঝামাঝিই করোনার ভ্যাকসিন আসার কথা।
সূত্রের খবর, করোনার টিকা তৈরির শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন সংস্থা মোডার্না আইএনসি (Moderna Inc) এবং ফাইজার আইএনসি। মোডার্না মার্কিন সরকারের সমর্থনে গবেষণার তৃতীয় পর্যায়ে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর টিকার চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করেছে। অন্যদিকে ফাইজারের টিকার ট্রায়াল চলছে বিশ্বের বহু দেশে। দুটি টিকাই ট্রায়ালের একেবারে শেষপর্যায়ে। কিন্তু নভেম্বরের আগে এদের ট্রায়াল শেষ হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ট্রায়াল শেষ না হলেও ১ নভেম্বরের মধ্যেই ভ্যাকসিনের আগমনের কথা ঘোষণা করে দিতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটের আগে চমক দেওয়ার জন্য কোটি কোটি আমেরিকাবাসীর জীবন সংকটের মধ্যে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.