সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) আসলেই চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র! যা গোটা দুনিয়াকে তছনছ করে দিয়েছে। মারণ এই ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আমেরিকা করছিল, সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে এবার সিলমোহর দিয়ে দিলেন চিনেরই এক গবেষক। এক সাক্ষাৎকারে চিনা গবেষক চাও সান জানিয়েছেন, চিন সরকার তাঁকে এবং তাঁর সহকর্মীদের সবচেয়ে বিপজ্জনক করোনা ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি চিনা সাংবাদিক জেনিফার জেং নিজের ব্লগে চাও সান নামের ওই গবেষকের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছেন। করোনার প্রকোপ যখন চরমে সাক্ষাৎকারটি সেসময় নেওয়া। ওই সাক্ষাৎকারে ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি চাও সান বলেছেন, তাঁকে করোনার চারটি স্ট্রেইন দেওয়া হয়েছিল। এবং এই চারটির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো সেটা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল। ওই সাক্ষাৎকারেই চাও করোনাকে ‘জৈব অস্ত্র’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন। বাদুড়, বানর এবং মানুষের উপর করোনার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন চাও সান (Chao San)।
ওই গবেষকের দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা প্রমাণিত হয়ে যাবে যে চিনই গোটা বিশ্বের জন্য বিপদ ডেকে এনেছিল। করোনার উৎপত্তি যে চিনেই, সে বিষয়ে মোটামুটি গোটা বিশ্ব একমত। ঘটনাচক্রে করোনা কালে (COVID-19) চিনের অর্থনীতিই সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। চিনের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করেছিল আমেরিকা। পরবর্তীকালে ব্রাজিল-সহ বেশ কিছু দেশ চিনের বিরুদ্ধে করোনাকে ‘জৈব অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে। সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর পড়ে গেল চিনা গবেষকের কথায়।
বস্তুত, চিনের ইউহানের সি-ফুডের বাজার যদি সত্যিই করোনা সংক্রমণের ‘গ্রাউন্ড জিরো’ হয়ে থাকে, তাহলে সেই অঞ্চল কীভাবে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে মুক্ত থেকে গেল? করোনার প্রকোপে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যখন ধসে গেল, তখন চিন কীভাবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখল? করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাননি ভাইরলোজিস্ট থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.