সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই স্কুলজীবন থেকে প্রেম করছিলেন হারলে ও রিয়ানন মর্গান। ছোটবেলার প্রেম ভেঙে যায়নি। বরং পূর্ণতা পেয়েছিল। স্বপ্নের নীড় বেঁধেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সুখ বড় ক্ষণস্থায়ী। হারলে আর রিয়াননের জীবনে সেই সময়টা বোধহয় আর পাঁচটা লোকের থেকে আরও কম। বিয়ের পর তাঁরা দাম্পত্য জীবন কাটালেন মাত্র কয়েক মিনিট। তারপরই যমদূত ডেকে নিয়ে গেল তাঁদের।
টেক্সাসের অরেঞ্জের বাসিন্দা রিয়াননের সঙ্গে হারলের বিয়ে ছিল শুক্রবার। কোর্টরুমে বিয়ের সময় উচ্ছ্বসিত ছিল দম্পতি। তখন আর কে জানত, তাঁদের এই উচ্ছ্বাসের স্থায়ীত্ব মাত্র কিছুক্ষণ? বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন রিয়ানন। কিন্তু আচমকাই দুর্ঘটনা। পাঁচ লেনের রাস্তায় ওঠার কিছুক্ষণ পর একটি ট্রেলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে নবদম্পতির গাড়িটির। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি উলটে পাশে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বর-বধূ। জীবন শুরু হওয়ার আগেই নিভে গেল বাতি। বিয়ের পোশাকেই পরপারে পাড়ি জমালেন সদ্য বিয়ে করা রিয়ানন ও হারলে।
রিয়াননের মা ও বোন ছিলেন নবদম্পতির গাড়ির ঠিক পিছনে। দুর্ঘটনাটি সচক্ষে দেখেন তাঁরা। নিজের ছেলে ও বৌমার মৃত্যু চোখের সামনে দেখে বাঁধভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, “আমার চোখের সামনে বাচ্চা দু’টো মারা গেল। আমি বসে বসে দেখলাম। সারা জীবনে আমি এ দৃশ্য ভুলতে পারব না। আমি ওকে গাড়ি থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করেছিলাম। এখনও আমার হাতে ওর রক্ত লেগে রয়েছে।” হারলে ও রিয়াননের আত্মীয়রাও মৃতদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সবাই বলছে, কতই বা বয়স হয়েছিল রিয়ানন আর হারলের? মাত্র ২০ বছর বয়স হয়েছিল রিয়াননের। হারলে তো ১৯-এ পড়েছিল। স্কুল জীবন থেকে প্রেম। তাই তাড়াতাড়ি বিয়ে করে সংসার শুরু করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু ভাগ্যের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! এখন যাকেই দেখছেন রিয়াননের মা, বলছেন, “বাড়ি যাও। যাকে ভালবাস, তাকে জড়িয়ে ধর। এখানে কী করছ?”
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করার কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.