ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের মাঝেই কানাডায় ভয়াবহ হামলা। বন্দুকবাজের গুলিতে ঝাঁজরা অন্তত ১৬ জন। যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ অফিসারও। পুলিশের পালটা গুলিতে নিহত বন্দুকবাজও। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ হামলার ঘটনা বলে একে চিহ্নিত করছে জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন।
মারণ জীবাণু করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এই মুহূর্তে কানাডায় চলছে লকডাউন। ঘরবন্দি মানুষজন। কিন্তু তার মাঝে রবিবারই ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা। নোভা স্কটিয়া প্রদেশের পোর্টাপিকো শহরে পুলিশ অফিসারের বেশে এক ব্যক্তি আচমকাই হামলা চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের গাড়ি নিয়ে আসে। গুলিচালনার পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। ভয় পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন মানুষজন। কিন্তু তাতে আরও বিপত্তি ঘটে। তাঁরা এলোপাথাড়ি গুলির মুখে পড়ে প্রাণ হারান।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, প্রথমে এলোমেলো ছিন্নভিন্ন দেহ চোখে পড়ে। তা দেখেই শিউড়ে ওঠার জোগাড়। পুলিশের পালটা গুলিতে এরপর মৃত্যু হয় বন্দুকবাজের। পুলিশ তাকে শনাক্ত করেছে। নাম গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান, বয়স একান্ন বছর। গ্যাব্রিয়েলকে কাবু করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩ বছর বয়সী এক পুলিশ অফিসারের। জখম হয়েছেন আরও একজন। নোভা স্কটিয়ার প্রিমিয়ার ম্যাক নিল জানিয়েছেন, “আমাদের প্রদেশে এই হামলা ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত এবং জঘন্য ঘটনা।” এনিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বিবৃতি দিয়ে জানান, “এই দুঃসময়ে আমরা সকলে একে অন্যের পাশে আছি। একসঙ্গে বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। যাঁদের পরিবার এই জঘন্য হামলার শিকার হলেন, তাঁদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমরা আপনাদের সঙ্গে সর্বদাই আছি। দুঃসময় কেটে যাবে।”
কানাডায় বন্দুকবাজের তাণ্ডব বা জঙ্গি হামলা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। এমনিতে এসব থেকে মুক্ত দেশটি। কারণ, সেখানকার বন্দুক আইন খুব কড়া। ১৯৮৯ সালের এক বন্দুকবাজ ১৪ জন মহিলাকে নির্বিচারে হত্যা করার পর সেখানে আরও কড়া হয়েছে আইনটি। তবে রবিবারের নৃশংস হামলা এবং ১৬ জনের প্রাণহানি সেই ঘটনার ভয়াবহতাকেও ছাপিয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.