সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ত্রস্ত চিন। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রবিবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মোট ১৯৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলেই খবর। জাপানেও তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলেই দাবি সেদেশের প্রশাসনের। চিনা ভাইরাসের আতঙ্ক গ্রাস করেছে ভারতকেও। এই পরিস্থিতিতে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক বসে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েই আলোচনা করা হয়।
করোনা ভাইরাসের হানায় এখনও পর্যন্ত ইউহান প্রদেশের এক চিকিৎসক-সহ মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। নতুন করে ১৯৭৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতে ইউহান-সহ ১৮টি শহরকে বাকি দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে হুয়াংগাং, এজহউ, চিবি, জিআনতাও, কিউয়ানজিয়াং মতো শহরও। এদিকে, ফ্রান্সেও থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। রাজধানী প্যারিস-সহ প্রান্তিক এলাকার তিনজনের দেহে এই রোগের জীবাণু মিলেছে বলে খবর। ইতিমধ্যে তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনজনই সম্প্রতি চিন থেকে ফিরেছিলেন। প্রসঙ্গত, ইউরোপের কোনও দেশে এই প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা সামনে এল। ফলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
রোগের হাত থেকে বাঁচতে চিন, হংকং থেকে ভারতে ফিরেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে তাঁদের থার্মাল টেস্ট করা হচ্ছে। কারোর মধ্যে সংক্রমণের সামান্য আঁচ পেলেও তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হচ্ছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ না থাকলেও চিন ফেরত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। মারণ ব্যাধি মোকাবিলায় তৎপরতার সঙ্গে চিনে হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগে ২০০৩ সালে সার্স যখন মহামারীর আকার নিয়েছিল, তখনও বেজিং এই একইভাবে গড়ে উঠেছিল নতুন হাসপাতাল। যা অনেক উন্নত দেশেরই ভাবনার অতীত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.