সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া গেল টাইটান সাবমেরিনের (Submarine Titan) ধ্বংসাবশেষ। সন্ধান মিলেছে সাবমেরিনে থাকা পাঁচ যাত্রীর দেহাংশেরও। যদিও দেহের পরিচয় এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, সাবমেরিনের উদ্ধার হওয়া অংশগুলি পরীক্ষা করে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, জলের চাপে ভেঙে গিয়েছিল সাবমেরিন টাইটান। যাত্রা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সাবমেরিনটির সলিল সমাধি ঘটে।
বুধবার মার্কিন উপকূলরক্ষা বাহিনীর (USA Coast Guard) তরফে জানানো হয়, সমুদ্রের নীচে তল্লাশির সময়ে বেশ কিছু দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আপাতত মার্কিন মেডিক্যাল বিভাগের আধিকারিকরা মৃতদেহের নমুনা খতিয়ে দেখবেন।” জানা গিয়েছে, দেহাংশের খোঁজ পেতেও যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়েছিলেন উদ্ধারকারীরা। পাঁচজন অভিযাত্রীর মধ্যে ছিলেন সাবমেরিন প্রস্তুতকারক সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ নাগরিক হামিশ হার্ডিং, ফরাসি বিশেষজ্ঞ পন হেনরি নার্গোলে। এছাড়াও পাক ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তাঁর পুত্র সুলেমানেরও মৃত্যু হয়েছে।
দেহাংশের পাশাপাশি খোঁজ মিলেছে ভেঙে যাওয়া সাবমেরিনটিরও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি এসইউভি গাড়ির সমান আয়তন ছিল টাইটানের। সমুদ্রের প্রায় ৪ কিলোমিটার গভীরে সাবমেরিনটি ডুবে গিয়েছিল। কানাডার (Canada) সীমান্ত থেকেই টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকেও ৫০০ মিটার নীচে ডুবে গিয়েছিল এই সাবমেরিন।
নিউ ইয়র্কের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে আনার জন্য। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কানাডা সীমান্তে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হলেও সেদেশের সরকারের তরফে এই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। তবে মার্কিন তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, টাইটানের ভেঙে পড়ার আসল কারণ এখনও জানা নেই। সমুদ্রের তলায় ঠিক কী ঘটেছিল, ভবিষ্যতে এহেন পরিস্থিতি কীভাবে এড়ানো যেতে পারে সেই নিয়ে বিশদ তদন্ত করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.