সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উজবেকিস্তানে এসসিও (SCO) বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই সিনিয়র অফিসার পর্যায়ের কোয়াড (QUAD) বৈঠক আয়োজন করতে চলেছে দিল্লি। কিছুদিন আগেই রাশিয়ার মাটিতে চিনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ভারত। সেই কারণে বেশ অসন্তুষ্ট হয়েছিল আমেরিকা। অন্যদিকে মঙ্গলবারই ভারত এবং চিনকে একসঙ্গে নিয়ে নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। সব মিলিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানের ফলে কার্যত সুতোর উপর দিয়ে হাঁটছে ভারতের বিদেশনীতি।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানে শুরু হচ্ছে এসসিও বৈঠক। সেখানে আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন চিন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেই সম্মেলনে মোদি (Narendra Modi) যোগ দিলেও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কিনা, তা নিয়ে কোনও তথ্য জানা যায়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই সম্মেলনের আগেই কোয়াড দেশগুলির আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করছে নয়া দিল্লি। এসসিও বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই জাপানে ২+২ বৈঠকে অংশ নেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অলিপাভ বলেছিলেন, ভারত, চিন এবং রাশিয়া-এই তিনটি দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে চায় মস্কো। লাদাখ সীমান্ত ঘিরে ভারত-চিনের বিবাদকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছে বেশ কিছু দেশ, এমনই দাবি করেছিলেন অলিপাভ। নাম না করে আমেরিকাকে বিঁধে অলিপাভ বলেছিলেন, রাশিয়া এবং চিনকে আগ্রাসী হিসাবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাইছে আমেরিকা। মূলত সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন পুতিনও।
লাদাখ সীমান্তে চিনকে রুখতে আমেরিকা এবং রাশিয়া-দুই দেশেরই সহায়তা প্রয়োজন ভারতের। সেই কারণেই দুই মহাশক্তিধর দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে নয়া দিল্লি। কিন্তু বারবার কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়ার ফলে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আপাতত, কোয়াড এবং এসসিও বৈঠকে কী অবস্থান নেয় ভারত, সেদিকে তাকিয়ে ভারতের কূটনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.