সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন ফেলুদা কিংবা ব্যোমকেশের গোয়েন্দা গল্প। প্রমাণের অভাবে গত ৪৩ বছর ধরে সমাধান হচ্ছিল না যে ধর্ষণ ও খুনের মামলার, নিরীহ চুইংগাম সেই রহস্যের জট ছাড়িয়ে দিল। আমেরিকার (America) অরেগঁ প্রদেশে ১৯৮০ সালে খুন হয়েছিলেন ১৯ বছরের তরুণী বারবারা টিউকার। প্রায় অর্ধশতক পরে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন রবার্ট প্লিম্পটোন।
মাউন্ট হুড কমিউনিটি কলেজের ছাত্রী ছিলেন বারবারা। ১৯৮০ সালের ১৫ জানুয়ারি তাঁর উপর নৃশংস হামলা হয়েছিল। অভিযোগ, রবার্ট প্লিম্পটোন নামের এক যুবক (তখন যুবক, এখন ৬০ বছর বয়স) বারবারাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেছিল। এর পর তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। গোটা ঘটনা ঘটেছিল কলেজ ক্যাম্পাসের পার্কিং চত্বরে। পরদিন সকালে কলেজের কয়েক জন পড়ুয়া বারবারার দেহ পড়ে থাকতে দেখেছিল।
চার দশক আগের সেই ঘটনায় গত সপ্তহে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত রবার্ট। যদিও তার পক্ষের আইনজীবী বিপরীত যুক্তি দিয়েছেন। যদিও সেই যুক্তি ধোপে টেকেনি। নেপথ্য রবার্টের চুইংগাম চেবানোর অভ্যাস। ১৯৮০ সালেই বারবারার যৌনাঙ্গের সোয়াব নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে সম্প্রতি রবার্টের চুইংগামের লাল পরীক্ষা করা হয়েছিল। ডিএনএ টেস্টে বারবারার সোয়াবে মেলে রবার্টের ডিএনএ-র নমুনা। এর পরেই আদালত দোষী সাব্যস্ত করে অভিযুক্তকে। এখন কেবল কঠিন শাস্তি ঘোষণাই বাকি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.