সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭টির মধ্যে ৬টিতে আগেই জিতে গিয়েছিলে তিনি। অবশেষে অবশিষ্ট অ্যারিজোনার আসনটিতেও বিজয়ী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের প্রদেশটিতে রয়েছে ১১টি ইলেক্টোরাল ভোট। এখানকার নির্বাচনী ফলাফলই ঘোষণা বাকি ছিল। এটি ঝুলিতে পোরার ফলে ট্রাম্প চলে গেলেন ৩১২-তে। কমলা হ্যারিস রইলেন ২২৬-এ।
মার্কিন রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বরাবরই নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করে এই ৭ নিরপেক্ষ প্রদেশ। যেগুলি হল, পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, নেভাদা, অ্যারিজোনা ও নর্থ করোলিনা। বলা হয়, এই ৭ প্রদেশ যার দিকে ঝোঁকে আমেরিকার মসনদ যায় তাঁর দখলে। এই ৭ প্রদেশই এবার রিপাবলিকান প্রার্থীকে দুহাত উজাড় করে আশীর্বাদ দিয়েছে। ৬টি আগেই জেতা হয়েছিল। এবার সপ্তমটিও জিতলেন তিনিই। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের আগেই অবশ্য রিপাবলিকানরা দাবি করেছিলেন, সুইং স্টেট পুরোপুরি তাঁদের দখলেই থাকবে। সেটাই সত্যি হল। একটিতেও জিততে পারলেন না ডেমোক্র্যাটরা।
২০২০ সালে জো বাইডেন অল্প ব্যবধানে জিতেছিলেন অ্যারিজোনায়। ১৯৯৬ সালে বিল ক্লিন্টনের পর কোনও ডেমোক্র্যাট সেই প্রথম জিতেছিলেন এখানে। কিন্তু এবার ট্রাম্পের জয়ে এই প্রদেশ ফের রিপাবলিকানদের দখলে চলে গেল। এখানে প্রচারে এসে ট্রাম্প বার বার সীমান্ত সুরক্ষা, অভিবাসন ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কারণে ঘটে চলা অপরাধের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। ২০২৩ সালে রেকর্ড সংখ্যক অনুপ্রবেশকারীর প্রবেশ ঘিরে অ্যারিজোনার বহু মানুষই বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ খেলে দিয়েছেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, শুরুতে ৮২ বছরের জো বাইডেনকে প্রার্থী হিসেব বেছে নিয়েছিল ডেমোক্র্যাট। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা থাকলেও কিছুতেই প্রার্থীপদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন না কমলা দন্দ্বে ভুগে শেষ পর্যন্ত তিন মাস আগে প্রার্থী নিশ্চিত হয় ডেমোক্র্যাটদের। যদিও সমীক্ষাগুলি থেকে মনে করা হচ্ছিল কমলা ও ট্রাম্পের মধ্যে ‘কাঁটায় কাঁটায় টক্কর’ হবে। এবং হয়তো কমলাই শেষ হাসি হাসবেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশ হতে দেখা গেল কমলাকে অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। এমনকী, সুইং স্টেটেরও সব কটিতেই জিতলেন তিনিই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.