সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামী মাসের ১২ তারিখেই সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের স্বাক্ষী হতে্ চলেছে গোটা বিশ্ব। দীর্ঘদিনের উত্তাপ -দ্বন্দ্ব ভেঙে সেইদিনই প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। জল্পনা ভেঙে ঘোষিত হয়েছে বৈঠকের স্থানও- সিঙ্গাপুর। চরম উত্তেজনার মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে গোটা বিশ্ব।
[ইজরায়েলি মিসাইলে লাল সিরিয়ার আকাশ, ধ্বংস ইরানি সেনাঘাঁটি ]
এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া এবং চিনও। জানা গিয়েছে, ১২ জুন ভারতীয় সময় সম্ভবত সকাল ন’টা নাগাদ করমর্দন করতে দেখা যেতে পারে একসময়ের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাকে স্বাগত জানিয়েছে, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব রাজনীতিতে ঐতিহাসিক দিন হিসাবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে ১২ জুন। চলতি মাসের শুরুতেই দীর্ঘ ৬৫ বছরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি ভেঙে বেরিয়ে এসেছিল পিয়ংইয়ং ও সিওল। দুই দেশের সীমান্তবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোনের পিস হাউসে হাত মিলিয়ে ছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। সেই বৈঠক থেকেই কিমকে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাজি করিয়েছিলেন মুন। এই বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছিল মার্কিন রাষ্ট্রপতিও।
[‘আমার সামনেই মুরের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হন ট্রাম্প’, বিস্ফোরক দাবি প্লেবয় মডেলের]
কয়েক মাস আগেও কিম ও ট্রাম্প পরস্পরকে পরমাণু হামলায় উড়িয়ে দেওয়ার নিয়মিত হুমকি দিতেন। গত আড়াই বছর ধরে লাগাতার পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছেন কিম। পরমাণু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিত্য নতুন হুমকিতে যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্রতর হয়। পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে ও আমেরিকার কয়েকটি শহরে আতঙ্ক বেড়ে যায় বহুগুণ। উত্তর কোরিয়াকে জব্দ করতে পূর্ব চিন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে প্রচুর যুদ্ধজাহাজ, বিমানবাহী রণতরী পাঠায় আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের জোট। সম্মুখসরমে অবতীর্ণ হবে উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকা এটা ধরেই তা এড়াতে ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছিল কূটনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.