সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি নিয়ে এখনও দোনামনা করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কিকে হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনান্ড ট্রাম্প। রীতিমতো হুমকির সুরে জানালেন, শেষ মুহূর্তে ইউক্রেন যদি এই চুক্তি থেকে পিছু হঠে তাহলে জেলেনস্কির কপালে দুঃখ রয়েছে। শুধু তাই নয় পুতিনকেও হুমকি দিয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়া শান্তিচুক্তিতে রাজি না হলে রুশ তেলের উপর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দ্বিতীয় শ্রেণির শুল্ক চাপানো হবে।
হোয়াইট হাউসের অধীশ্বর হওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এত বছর ধরে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করার জন্য সেদেশের অর্ধেক খনিজ সম্পদ ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে আমেরিকা। বিনিময়ে ইউক্রেন চায় আমেরিকা তাদের নিরাপত্তা দিক। ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করুক ইউক্রেনকে। চুক্তির শর্তে তেমন প্রতিশ্রুতি না থাকায় অসন্তুষ্ট জেলেনস্কি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, “আমি জানতে পেরেছি খনিজ চুক্তিতে সই করতে দোনামনা করছেন জেলেনস্কি। উনি চেষ্টা করছেন চুক্তি থেকে সরে আসার। তিনি বলছেন, এই বিষয়ে আবার আলোচনা করব। এটা করব, সেটা করব। ন্যাটোর সদস্য হতে চাই প্রভৃতি। যদিও উনি ভালো করেই জানেন উনি কখনও ন্যাটোর সদস্য হবেন না। তারপরও যদি শেষ মুহূর্তে জেলেনস্কি এই চুক্তি থেকে সরে আসেন, তাহলে মনে রাখবেন আপনাদের কপালে দুঃখ রয়েছে।”
আমেরিকার হুঁশিয়ার থেকে বাদ পড়েননি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী ট্রাম্প রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, যদি পুতিন এই শান্তি চুক্তিতে রাজি না হন, এবং এই প্রস্তাব স্থগিত রাখেন সেক্ষেত্রে এর ফল ভুগতে হবে। আমরা রাশিয়ার জ্বালানি তেলের উপর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দ্বিতীয় শ্রেণির শুল্ক আরোপ করব। যার অর্থ, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর যদি কেউ রাশিয়ার থেকে তেল কেনে, সেক্ষেত্রে সেই দেশ আমেরিকায় বাণিজ্য করতে এলে তাদের উপর চাপানো হবে এই কর। অর্থাৎ ঘুরপথে রাশিয়ার তেল রপ্তানি বন্ধ করার হুঁশিয়ারি আমেরিকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.