মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন, আলোচনার বিষয় নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত দু’মাসে দুটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বিশ্ব৷ প্রথমে দীর্ঘ ৬৫ বছরের দূরত্ব সরিয়ে কাছাকাছি এসেছিল দুই কোরিয়া৷ উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের সঙ্গে করমর্দন করে দীর্ঘদিনের তিক্ততার সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন৷ তারপরেই সিঙ্গাপুরে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশ্বের যুযুধান দু’পক্ষ কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ চলতি মাসে ঘটতে চলেছে আরও ঐতিহাসিক ঘটনা৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের টেবিলে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ যা রুশ-মার্কিন কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল৷

[রাশিয়ায় কীসের আতঙ্ক তাড়া করছে ফুটবলপ্রেমীদের?]

ট্রাম্প-কিম বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরের মতো একটি ‘নিউট্রাল ভ্যেনু’কে নির্বাচন করেছিল ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ে৷ জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রেও তেমনটাই করা হয়েছে৷ আগামী ১৬ জুলাইয়ের বৈঠকের জন্য ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিকে মনোনীত করেছে হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের আধিকারিকরা৷ বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আলোচনা হওয়ার৷ ইতিমধ্যেই মস্কোতে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে একতরফা বৈঠক সেরে এসেছেন ট্রাম্পের দূত তথা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন৷ সেখানেই মোটামুটি প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আলোচনা সূচী৷

[বিয়ের সাজেই বল পায়ে মাঠে নামলেন রুশ সুন্দরীরা, তারপর…]

আগামী ১১-১২ জুলাই ব্রাসেলস ন্যাটোর বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প৷ এরপরেই তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টে সঙ্গে হওয়া বৈঠকে৷ সম্প্রতি জি-৭ বৈঠকের পর থেকেই কানাডা, জার্মানি ও ফ্রান্সের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্কে ভাটা পড়েছে৷ এমত পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন না কূটনৈতিক মহল৷ পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এরফলে ঘরেতেও সমালোচনার মুখে পড়তে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে৷ কারণ ২০১৭-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে বাইরে থেকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে৷