সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কার পারদ চড়লেও, শেষ পর্যন্ত করোনা যুদ্ধে হাসতে হাসতে বেরিয়ে এলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। দু’বারের পরীক্ষায় তাঁর শরীরে COVID-19 জীবাণুর অস্তিত্ব মেলেনি বলে সরকারি সূত্রে খবর। সেনা হাসপাতাল থেকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট হাতে নিয়ে তা ‘নিজের জয়’ বলে উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলসোনারোর কটাক্ষ, তাঁর অসুস্থতা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল।
শুক্রবার সন্ধেবেলাই খবর মিলেছিল, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। যদিও খবর কতটা সঠিক, তা নিয়ে সংশয় ঘনিয়েছিল তখনই। তবে শনিবার সকাল হতেই সবটা স্পষ্ট হয়ে গেল। ভালই আছেন জাইর বলসোনারো। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে এমন আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ার কারণও অবশ্য ছিল। প্রথমত, নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সংক্রান্ত সমস্ত সতর্কতা হেলায় উড়িয়ে তিনি বৃহস্পতিবার জনসংযোগ প্রধান ফ্যাবিও ওয়াজগার্টেনের সঙ্গে দেখা করেন। মার্কিন সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সদ্যই দু’জন দেশে ফিরেছেন। তারপরই ফ্যাবিও করোনা পজিটিভ বলে পরীক্ষায় জানা যায়।
ফলে বলসোনারোকে নিয়েও আশঙ্কা বাড়ছিল। COVID-19’এর প্রথম পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ আসে। কিন্তু চিকিৎসকদের সংশয় হওয়ায় সেনা হাসপাতালে আরও একবার পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। মুখে মাস্ক পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানতে পারব আসল ঘটনা।’ দ্বিতীয় পরীক্ষার রিপোর্টে সত্যিই দেখা গেল, তাঁর শরীরে করোনার জীবাণু প্রবেশ করেনি।
বলসোনারো করোনা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকলেও আমেরিকা থেকে ফেরার অস্ট্রেলিয়ার এক মন্ত্রীর শরীরে কিন্তু মারণ জীবাণুর সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। গত সপ্তাহে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে দেশে ফিরেছিলেন মন্ত্রী পিটার ডাটন। শারীরিক পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার পিটার জানতে পারেন, তিনি করোনা আক্রান্ত। অস্ট্রেলিয়ায় এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮৪। সংবাদমাধ্যমকে পিটার জানিয়েছেন, ‘‘সকাল থেকে শরীরটা ভাল লাগছিল না। জ্বর ছিল, গলাতেও ব্যথা। তার পরই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হই।’’ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর পিটারকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন, পিটার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে ক্যাবিনেট বৈঠকও করেছেন। তাই ক্যাবিনেট সদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার সময় পিটারের সঙ্গে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রী ট্রেসি মার্টিন। তাঁকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.