সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতিতে সফল হতে কী কী গুণ প্রয়োজন ? কেউ হয়ত বলবেন ব্যক্তিত্ব, আবার কেউ বলবেন বাগ্মিতা বা নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা। নিন্দুকেরা অবশ্য বলে থাকেন চাটুকারিতা বা ভোলবদলের ক্ষমতা কিংবা নির্লজ্জতার মত মহৎ গুণও প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই মন্ত্রীমশাই বলছেন অন্য কথা। তাঁর মতে বড় নেতা হতে গেলে বিয়ে করা চলবে না।
কিন্তু ঠিক কী যুক্তিতে এমন দাবি করছেন এই মন্ত্রীমশাই? তাঁর মতে, ‘বিয়ের পর মানুষ সংসারের নানা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। পারিবারিক চিন্তায় দেশের চিন্তা করাটা আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের সদস্য সংখ্যা যত বাড়ে তত বাড়ে দুশ্চিন্তা। কিন্তু যাদের ঘর-সংসারের চিন্তা নেই তাঁরা নিশ্চিন্তে দেশের সেবায় মনোনিবেশ করতে পারেন।’ গতকাল মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরে খান্দোয়া নামের ছোট একটি শহরে একটি অনু্ষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের শক্তি দপ্তরের দায়িত্বে থাকা পরশচন্দ্র জৈন। একা থাকেন বলেই বিশ্বের দরবারে ভারতের সম্মান বাড়াতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মত মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর। সবটাই অবশ্য তিনি বলেছেন রসিকতার ছলে। পরে তিনি এটাও বলেছেন এসবই নিজের ‘মন কি বাত।’
মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান মন্ত্রিসভার সদস্য পরশচন্দ্র জৈন, যার এই মন্তব্য এখন নেটদুনিয়ার খোরাক তিনি নিজে কিন্তু বিবাহিত। কদিন আগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বজনপোষনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরিবার সংক্রান্ত এই দুর্নীতিতে বিদ্ধ হয়ে আপাতত তিনি অন্যদের দিচ্ছেন বিয়ে না করার পরামর্শ। অনেকে বলছেন, দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তির হতাশা থেকেই হয়তো এমন বলছেন পরশচন্দ্র।
তবে, মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর এই যুক্তিকে একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ দেশের সফল রাজনীতিবিদদের অধিকাংশই কিন্তু হয় অবিবাহিত, আর নাহয় একা থাকেন। তালিকায় সবার উপরে যার নাম আসে তিনি আর কেউ নন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও কিন্তু এখনও বিয়ে করেননি। জয়ললিতা, মায়াবতীরাও রয়েছেন এই দীর্ঘ তালিকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.