ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: তিনি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-র সুপ্রিমো। তাঁর এক কথায় ওঠবোস করেন তাবড় নেতারা। সেই সেই খালেদা জিয়াই এখন ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে কারাগারের অন্দরে। মেনে চলতে হচ্ছে জেলের নিয়ম। ফলে স্বাভাবিক কারণেই আর পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা তাঁর কর্মসূচি। ব্যস্ত রাজনৈতিক জীবন থেকে জেলের ভেতর এসে কী করছেন তিনি? কী হবে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ এ নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা।
[চোখ বুজে আদালতের রায় শোনেন খালেদা, দলের ভার এখন পুত্রর কাঁধে]
জানা গিয়েছে, দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর অধ্যাত্মের দিকেই ঝুঁকেছেন খালেদা জিয়া। কারাগারে নমাজ পড়েই সময় কাটাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী। বৃহস্পতিবার, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তারপর থেকেই তাঁকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। গত দু’দিনের মতোই শনিবার ভোরে নমাজ পড়েই দিন শুরু করেন তিনি। তারপর কারা কর্তৃপক্ষের দেওয়া জলখাবার খান তিনি। তাঁর সঙ্গে রয়েছে পরিচারিকা ফাতেমা। কারা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) তৌহিদুল ইসলাম জানান, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে কারাগারের মূলফটকের ভেতরে পুরনো অফিস ভবনে রাখা হয়েছে। সিনিয়র জেল সুপারের ওই অফিস কক্ষে একটি খাট, টেবিল, চেয়ার, টিভি ও দুটি ফ্যান রয়েছে। রয়েছে টেলিভিশনও, তবে সেখানে দেখানো হবে শুধু বিটিভি। তবে তাঁর ঘরটি একেবারে বাতানুকূল। পাশের রুমে রান্নার ব্যবস্থাও রয়েছে। পরিত্যক্ত ওই কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে রয়েছেন বিএনপি নেত্রী।
রাজনৈতিক বন্দি ও জেলকোড অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। সকালে তাঁকে তিনটি সংবাদপত্র পড়তে দেওয়া হচ্ছে। কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, খালেদা জিয়াকে এখনও কয়েদির পোশাক পরানো হয়নি। নিয়মানুযায়ী প্রথম দিন জেলের পোশাক পরানো হয় না। দ্বিতীয় দিন থেকে পরানোর নিয়ম রয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই পোশাক পরানো হয়নি তাঁকে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার একটি দুর্নীতি মামলায় জেলের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। তাঁকে পাঁচ বছরের জেলের সাজা দেন বিচারক।
[দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের জেল, ভোটে লড়তে পারবেন না খালেদা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.