সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতীক্ষার অবসান। বৃহস্পতিবার থেকেই সেদেশে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ (COVID vaccine)। আপাতত ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে আমজনতার কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছতে এখনও মাসদুয়েকের অপেক্ষা বলেই জানাচ্ছে ইসলামাবাদের প্রশাসন। কিন্তু টিকাকরণ শুরু হলেও ধন্দ থেকেই যাচ্ছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে। কেননা এখনও পর্যন্ত চিনের (China) স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে সম্পূর্ণ সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি সিনোফার্ম ভ্যাকসিনকে।
গত সোমবারই চিন থেকে পাকিস্তানে এসে পৌঁছেছে সিনোফার্মের তৈরি ভ্যাকসিনের পাঁচ লক্ষ ডোজ। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) সেকথা জানিয়ে রীতিমতো উল্লাসও প্রকাশ করেছেন। যদিও তার মধ্যেই পাঞ্জাব প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াসমিন রশিদ সকলকে পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেছেন, ভ্যাকসিনের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিভিন্ন দেশে টিকাকরণের পরে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাঁর কথায়, ”সুতরাং, সকলকেই ভ্যাকসিন নিতে হবে নিজেদের ঝুঁকিতে।”
মঙ্গলবার রাতে ইমরানের সামনেই একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানে ভ্যাকসিন নেন এক পাক ডাক্তার। তিনিই দেশের প্রথম স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে টিকা নিলেন। কিন্তু কেন এই চিনা ভ্যাকসিন দিয়েই আপাতত টিকাকরণ শুরু করছে পাকিস্তান? এপ্রসঙ্গে পাক করোনা বিশেষজ্ঞ শাজিল মঞ্জুর সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের মতো গরিব দেশের পক্ষে এই ভ্যাকসিন খুবই উপযোগী হবে। কেননা, একে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে সংরক্ষণ করা যায়। অন্য ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেই তাপমাত্রা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি।
তিনি ভ্যাকসিনের সপক্ষে সাফাই গাইলেও দ্বিধা রয়েছে ইমরানের দেশের অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরই। এক বিশেষজ্ঞের দাবি, অন্য ভ্যাকসিনের মতো ট্রায়াল ও অন্যান্য তথ্য ততটা স্বচ্ছ নয় এই চিনা ভ্যাকসিনের। তাই এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এদিকে সিনোফার্ম ছাড়াও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনের ১ কোটি ৭০ লক্ষ ডোজও আসার কথা পাকিস্তানে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ লক্ষ ডোজ মার্চের মধ্যেই এসে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.