সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত মায়ানমার (Myanmar)। জুন্টার (Junta) গুলিতে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাঁদের অধিকাংশই কিশোর। গত দু’-তিন মাসের মধ্যে এটাই মায়নামারের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বলে জানা গিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন। তারপর রাষ্ট্রসংঘেও চাপের মুখে পড়েছে দেশটির সেনাশাসকরা। কয়েকদিন আগেই মায়ানমারের সামরিক জুন্টার নিন্দায় প্রস্তাব পাশ করা হয় আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মায়ানমারের গ্যাংগাও শহরে হানা দেয় মায়ানমার সেনা। সেনার চারটি গাড়িতে প্রায় শতাধিক সেনা এখানে হাজির হওয়ার পরে তাদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয় একটি মিলিশিয়া গ্রুপের সদস্যদের। ওই গ্রুপের কাছে অস্ত্রশস্ত্র কম থাকলেও তারা গুলি চালিয়ে জুন্টাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মায়ানমার সেনা এরপরও এলাকার ভিতরে প্রবেশ করে। সংঘর্ষ আরও তীব্র হতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, ওই বিদ্রোহীরা ছোট অস্ত্র ও ঘরে তৈরি বন্দুক নিয়েই লড়ায়ে নেমেছিল। শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি আচমকা মায়ানমারের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয় সেনাবাহিনী। গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে বন্দি করা হয় দেশটির কাউন্সিলর আং সাং সু কি ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের। তারপর থেকেই গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশটি। এ পর্যন্ত দেশটিতে সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। এর মধ্যে রয়েছে শিশু ও মহিলারাও। এই ডামাডোলে সেনার দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত জনপ্রতিনিধিরা ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ তৈরি করেছে। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে লড়াই ঘোষণা করে দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর ডাক দিয়েছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.