সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিপত্য স্থাপনে মরিয়া চিন। ফলে ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদে জড়িয়েছে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের চাপ বাড়িয়ে আগামী বছর থেকেই দেশটিকে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস মিসাইল জোগান দিতে চলেছে ভারত ও রাশিয়া।
রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস মিসাইল। এর গতিবেগ ২.৮ ম্যাক। অর্থাৎ শব্দের থেকেও তিনগুণ দ্রুতগতিতে মিসাইলটি উড়তে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে ব্রহ্মস। যে কোনও টার্গেটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হামলা চালাতে পারে। ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথ্বী’র মতো ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতোই মারাত্মক এই ক্রুজ মিসাইল। একবার এই মিসাইল লঞ্চ করা হয়েছে গেলে শত্রুর পক্ষে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব। এবার এহেন ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দেওয়া হবে ফিলিপিন্সের হাতে। মিসাইলটির নির্মাণকারী সংস্থা ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’-এর সহপ্রধান আলেকজান্ডার মাকসিচেভ জানিয়েছেন, ২০২৩ সাল থেকেই ক্ষেপণাস্ত্রটির জোগান শুরু হবে।
রুশ সংবাদ সংস্থা ‘Sputnik’ সূত্রে খবর, এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেয়ে গত জানুয়ারি মাসে ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ফিলিপিন্স। প্রায় ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের এই চুক্তিই আন্তর্জাতিক অস্ত্রের বাজারে ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’-এর প্রথম পদক্ষেপ। এই বিষয়ে আলেকজান্ডার মাকসিচেভ বলেন, “ফিলিপিন্সকে জোগান দেওয়া ব্রহ্মস (Brahmos) মিসাইলগুলি মূলত উপকূলরক্ষায় ব্যবহার করা হবে। বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিপিন্স উপকূলে ব্রহ্মস মোতায়েন থাকলে চাপে পড়বে লালফৌজ। কারণ, অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির আওতায় চলে আসবে চিনা রণতরীগুলি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ভারত ও রাশিয়াত যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’। ব্রহ্মপুত্র ও মস্কো নদীর নামে নামকরণ করা হয় সংস্থাটির। এদেরই তৈরি অত্যাধুনিক ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। ২০০৬ সালে ভারতীয় স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Missile)। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৪০০ কিলোমিটার করা হয়। এবার ভারতীয় বায়ুসেনার হাতেও আসছে ব্রহ্মস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.