সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনে প্রথম মৃত্যুর সাক্ষী হল মায়ানমার (Myanmar)। গত সপ্তাহে নিরস্ত্র প্রতিবাদীদের উপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সেই বিতর্ক নয়া মোড় নিল ম্যাট থেট খাইন নামের ১৯ বছরের এক তরুণীর মৃত্যুতে (Protesters death)। ৯ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের রাজধানী নাইপিদাওয়ে পুলিশের ছোঁড়া রবারের বুলেটে বিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে নতুন করে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে দেশজুড়ে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলর আং সান সু কি ও গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এক বছরের জন্য দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। ফলে সামরিক শাসনে কণ্ঠরুদ্ধ হয়েছে গণতন্ত্রের। মায়ানমারে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে অহিংস প্রতিবাদের অধিকার সবই কেড়ে নিয়েছে সামরিক জুন্টা। তারপর থেকেই রাজধানী নাইপিদাও ও ইয়াঙ্গন-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে গণবিক্ষোভ। প্রতিবাদের আগুন যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে তাই দেশজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টেনেছে দেশের সেনা। কিন্তু এতকিছুর পরও রাস্তায় নেমে সু কি’র মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করছে মানুষ।
গত মঙ্গলবারও এমনই এক মিছিলে বিনা প্ররোচনায় জলকামান ও গুলি চালায় পুলিশ। তখনই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, অন্তত দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদেরই একজনের মৃত্যু হল আজ। গত বৃ্হস্পতিবার জন্মদিন ছিল ম্যাট থেট খাইন নামের ওই তরুণীর। গুলি লাগার পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন। শুক্রবার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
তাঁর মৃত্যুই এই আন্দোলনের প্রথম সরকারি মৃত্যু। ইতিমধ্যেই তিনি ‘আন্দোলনের মুখ’ হয়ে উঠেছেন। তাঁর দিদি পোহ পোহ সকলের কাছে আরজি জানিয়েছেন, ”আসুন সকলে ওই আন্দোলনে যোগ দিয়ে একে সফল করে তুলুন।” তরুণীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছবি হাতে নিয়ে এরই মধ্যে মিছিল করতে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের। জানা গিয়েছে, আগামী রবিবার তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.