দক্ষিণপন্থী নেত্রী তথা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মারিন লে পেন।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ফ্রান্সের দক্ষিণপন্থী নেত্রী তথা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মারিন লে পেনের কারাদণ্ড। ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ এই নেত্রীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সে দেশের আদালত। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৫ বছরের জন্য কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে ফ্রান্সের রাজনীতিতে। এই শাস্তিকে ‘রাজনৈতিক মৃত্যু’ বলে মন্তব্য করেছেন লে পেন। এই ঘটনার ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে ফ্রান্সে। লে পেন জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য এটাই হতে চলেছে তাঁর শেষ নির্বাচন। তবে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিষেধাজ্ঞায় তা আর সম্ভব নয়। বর্তমানে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ২০১৭ ও ২০২২ সালে ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামলেও সাফল্য পাননি লে পেন। তবে অনুমান করা হচ্ছিল ২০২৭-এর নির্বাচনে হয়ত পালাবদল হতে পারে। কারণ, সাম্প্রতিক একাধিক সমীক্ষায় জানা যাচ্ছিল ফ্রান্সে লে পেনের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে গত কয়েক বছরে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই আদালতের কোপ পড়ল বিরোধী নেত্রীর উপর।
ন্যাশনাল র্যালি পার্টির নেত্রী লে পেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দায়িত্বে থাকাকালীন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আর্থিক তহবিলের অপব্যবহার করেছিলেন তিনি। এই মামলাতেই গত সোমবার লে পেনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনায় আদালত। সাজা ঘোষণার সময় আদালতেই ছিলেন নেত্রী। তবে বিচারপতি রায় পড়ার সময় আদালত কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এদিকে রায়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয় লে পেনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও লে পেনের ২৪ জন সহযোগীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাঁদেরও ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি লে পেনের দলকে ২ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।
এই রায়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ লে পেন। তিনি বলেন, এই রায়ে রাজনৈতিকভাবে আমার মৃত্যু হল। গোটা ঘটনা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেও তোপ দেগেছেন বিরোধী নেত্রী। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ইউক্রেন নিয়ে সরব হয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ। সে প্রসঙ্গ টেনেই ট্রাম্প বলেন, “বর্তমানে ফ্রান্সের শীর্ষ নেত্রী তিনিই। আর তাঁকেই ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হল। এটা ওই দেশের মতোই পদক্ষেপ।” পাশাপাশি এলন মাস্ক বলেন, ‘যখন উগ্র বামপন্থীরা গণতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে জিততে পারে না, তখন তারা তাদের বিরোধীদের জেলে পাঠানোর জন্য আইনের অপব্যবহার করে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এই খেলাটাই চলছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.