ফাইল ফটো
সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুর্নীতি থেকে শুরু করে জাতীয় পতাকা অবমাননা। একের পর এক মামলায় আরও বিপাকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে ফের দু’টি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল ঢাকার এক আদালত।
[‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ পোস্টারে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেত্রীর ছবি, উপত্যকায় বিতর্ক ]
‘জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। একাধিকবার সমন পাঠালেও আদালতে হাজিরা দেননি তিনি। ফলে এদিন তাঁকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দেন বিচারপতি মহম্মদ আখতারুজ্জামান। একই দিনে জাতীয় পতাকার অবমাননার একটি পৃথক মামলায় বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারপতি নূর নবী। তবে সমস্তটাই ক্ষমতাসীন সরকারের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। তাঁর অভিযোগ, জিয়াকে দেশে ফিরতে দিতে চায় না আওয়ামি লিগ সরকার। সেজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এক দিনে দুই মামলায় সরকার এভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার এক আদালত। বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন জিয়া। সমন জারি করা হলেও আদৌ তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভবপর হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নির্বাচনের পর ক্ষমতায় আসেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তা বাতিল করার দাবি জানায় খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। দাবি না মানায় ২০১৫ সালই দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় বিএনপি ও সহযোগী ২০টি দল। ক্রমে হিংস্র হয়ে উঠে প্রতিবাদ মিছিল। অভিযোগ ওই সময় বিএনপি সমর্থকদের হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৫৫ জন নিরীহ মানুষ।
[মহিলা পুলিশের প্রেমের জালে পড়ে হাজতে চোর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.