সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দ্য বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামা’-র ছোট্ট শমুয়েলের কথা মনে আছে? মনে আছে কি অ্যান ফ্র্যাঙ্ককে? তারা কিছুই চায়নি, একমুঠো রদ্দুর ছাড়া। কিন্তু নাৎসিদের চোখে তা ছিল ‘রাইখ’-এর বিরুদ্ধে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তাই তাদের জায়গা হয়েছিল কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। আর এমনই এক বন্দিশিবিরে নাৎসি ফৌজের হয়ে কাজ করতেন ইর্মগার্ড ফুর্খনার। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৭। এবার প্রায় ৭৭ বছর পর বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে ওই নাৎসি যুদ্ধাপরাধীকে। তাঁকে দু’বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্স সূত্রে খবর, ইর্মগার্ড ফুর্খনার নাৎসিদের কবজায় থাকা পোলান্ডের গদানস্কের কাছে একটি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে স্টেনোগ্রাফার এবং টাইপিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সালে নাৎসি শাসন শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ওই কর্মকাণ্ডে শামিল হওয়ার অপরাধে তাঁকে দু’বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে সাজা স্থগিত রাখায় তাঁকে জেলে যেতে হবে না। উত্তর জার্মানির জেহো আদালতের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইর্মগার্ড ফুর্খনারকে ২ বছরের কারাদণ্ড (স্থগিত) প্রদান করা হয়েছে। বিচারক বলেছেন, যদিও ইর্মগার্ড একটি অসামরিক পদে দায়িত্ব পালন করতেন, তবে ক্যাম্পের মধ্যে কী সংঘটিত হতো সেটা সম্পর্কে তিনি জানতেন।
বিবিসি সূত্রে খবর, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ইর্মগার্ড ফুর্খনার বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হতেই, তাঁর অবসরকালীন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ওই বৃ্দ্ধা। পরে তাঁকে হামবুর্গের একটি রাস্তা থেকে খুঁজে পায় পুলিশ। তারপর যথারীতি ফুর্খনারেপ বিচার শুরু হয়। তবে বয়সের কথা মাথায় রেখে জেলের সাজা দিলেও তা স্থগিত রাখারর সিদ্ধান্ত নেন বিচারক বলে খবর।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সবচেয়ে কুখ্যাত কনসেনট্রেশন ক্যাম্প ছিল আউশভিৎস-বিরকেনাউ। আজ থেকে প্রায় ৭৫ বছর আগে পোল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ওই বন্দিশিবিরে পৌঁছানোর আগে প্রায ১১ লক্ষ সাধারণ মানুষকে হত্যা করে জার্মানির নাৎসি বাহিনী। নিহত লোকজনের অধিকাংশই ছিল ইহুদি। এই হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে হলোকাস্ট নামে পরিচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.