সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের রাজধানী বেজিং (Beijing)-এ লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। রবিবার পাওয়া খবর অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিনের বেশিরভাগ এলাকায় লকডাউন জারি।
চলতি মাসেই চিনের রাজাধানী বেজিং-এ নতুন করে দেখা দেয় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। যার জেরে কঠোর লকডাউন জারি করা হয় বেজিং-এর বেশ কিছু স্থানে। রবিবার বেজিং ও তার পার্শ্ববর্তী হেবেই (Hebei) প্রদেশে ও লকডাউন জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানান, “বেজিং থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে ইউহান, চলতি বছরের শুরুতেই সেখানে সংক্রমণের মাত্রা সর্বাধিক হয়। এবারেও ইউহানে পুরোপুরি লকডাউন জারি করা হবে ও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।” তবে বেজিংএ সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধির পর থেকেই কড়া হাতে হাল ধরেছে চিনা প্রশাসন। সংক্রমণ ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বেজিং-এ পরিবহনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে এখন থেকে নোটিশ জারি করে সেই নিয়মকে আরও একটু কঠোর করা হয়েছে। সংক্রমিত এলাকার প্রতিটি বাড়ি থেকে ১ জনকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন- খাবার, ওষুধ কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন:সামাজিক দূরত্বের গেঁরোয় ফাঁকা ট্রাম্পের সভা, ভিড় বাড়াতে ছেঁড়া হল ‘Do not sit’ স্টিকার]
বেজিং-এর পাইকারী বাজার থেকেই প্রথম সংক্রমণ ছড়ায় বলে জানা যায়। তারপরই সেই বাজার ও বাজার সংলগ্ন এলাকাগুলিকে সিল করে দেওয়া হয়। এমনকি সেই বাজারে আসা প্রতিটি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তবে চিনের এক খাবার ডেলিভারি সংস্থার ছেলের থেকেও এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মনে করে চিনা প্রশাসন। ডেলিভারি বয় যতগুলি বাড়িতে খাবার সরবরাহ করেন সেই সব বাড়িতে গিয়ে চিনা সরকারের তরফে করোনা পরীক্ষা করা হয়। এপর্যন্ত চিনের রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ইতিমধ্যেই বেজিং-এর পাইকারী বাজার, সেলুন, পার্লার, হোটেল, রেঁস্তরার কর্মীদের গণ-নমুনা পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জু হিজেন (Xu Hejian)-এর কথায়, “সংক্রমণ রোধে বেজিং-এর প্রতিটি বাড়িতে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের ভিতরে মানুষের প্রবেশ ও বাইরে যাওয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.