সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বনির্ভর হবেন, সাধারণ জীবনযাপন করবেন বলে ছেড়েছেন রাজপরিবার, প্রাসাদ। ত্যাগ করেছেন রাজকীয় উপাধি, সুযোগসুবিধাও। নতুন করে জীবন শুরুর তাগিদে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন। নতুন বাসা খুঁজে নিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি, তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেল এবং ছেলে আর্চি। ভিক্টোরিয়া, কানাডার সবচেয়ে অভিজাত এলাকা এবং ব্রিটিশদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গাতেই আপাতত বাড়ি নিয়েছেন তাঁরা। এখান থেকে লন্ডনও খুব বেশি দূরে নয়।
ভিক্টোরিয়ায় হ্যারিদের বাড়ি নেওয়া খুব স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ব্রিটিশ উপনিবেশ থাকাকালীন কানাডার এই ব্রিটিশ কলম্বিয়া তৈরি হয়েছিল মূলত তাঁদের জন্যই। এখনও ব্রিটিশরা কানাডায় এলে এখানে থাকতেই পছন্দ করেন। এখানকার ভিক্টোরিয়া, ভ্যাঙ্কুভারে প্রচুর ব্রিটিশ স্থায়ী বসতি গড়েছেন। ভিক্টোরিয়ার অভিজাত ফেয়ারমন্ট ইমপ্রেস হোটেলে এখনও ওড়ে ব্রিটেনের পতাকা। প্রচুর পর্যটকের ভিড় এখানকার সাধারণ ছবি। ভিক্টোরিয়ার সাধারণ বাসিন্দাদের কথায়, হ্যারি-মেগান সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাল করেছেন। ব্রিটেনে যে ব্যক্তিগত পরিসর তাঁরা পেতেন না, তা মিলবে এখানে। হ্যারি-মেগানের কেন এত পছন্দের ভিক্টোরিয়া? উত্তরে সেখানকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জায়গাটি এত সুন্দর আর ফাঁকা ফাঁকা, যে কারও ভাল লাগবে এই জায়গাটি।
এরই মধ্যে আবার মেগানের একটি ছবি কানাডার সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে তিনি একটি পার্কের কাছে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। তারপর ব্রিটেনের বিখ্যাত পত্রিকা দ্য সান উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পাপারাজিদের কৌতুহল থেকে দূরে থাকতে চান তাঁরা। সেই মর্মে সংবাদপত্রগুলিকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে বহু তথ্য জানা ব্যক্তি মিশেল ভ্যানতিলের কথায়, ”কানাডায় পাপারাজি সংস্কৃতি আমরা পছন্দই করি না। এখানে এসব নেই। বরং হ্যারি-মেগান বুঝতে পারবেন যে সম্পূর্ণ বিপরীত একটা পরিমণ্ডলে এসে পড়েছেন তাঁরা।” সবমিলিয়ে, কানাডায় হ্যারি-মেগান-আর্চির নবজীবন কেমন হবে, সেদিকে কৌতুহলী নজর সকলেরই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.