Advertisement
Advertisement
Stephen Miran

ট্রাম্পের শুল্ক নীতির নেপথ্যে মার্কিন অর্থনীতিবিদ! কে এই স্টিফেন মিরান?

হোয়াইট হাউসের অধীশ্বর হওয়ার পরই শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Harvard economist Stephen Miran is said to be the brain behind Donald Trump’s tariff policies
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:April 10, 2025 9:44 pm
  • Updated:April 10, 2025 9:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্টিফেন মিরান। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ। এই মুহূর্তে তিনি কেবল মার্কিন নয়, বলা যায় আন্তর্জাতিক কূটনীতির আলোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ। স্বাভাবিক ভাবেই মনে হতে পারে, একজন অর্থনীতিবিদ কী করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তিনি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন? আসলে স্টিফেন মিরানই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্কে’-র প্রকৃত পরিকল্পনাকারী! এমনটাই দাবি সংবাদমাধ্যমের। কিন্তু কে এই স্টিফেন মিরান?

২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর স্টিফেনকেই বেছে নেওয়া হয় ট্রাম্পের ‘কাউন্সিল অফ ইকনোমিক অ্যাডভাইসার্স’-এর মাথা হিসেবে। এবং তিনি দ্রুতই প্রেসিডেন্টের শুল্ককেন্দ্রিক বাণিজ্য নীতির অন্যতম পরামর্শদাতা হয়ে ওঠেন। গত ৭ এপ্রিল হোয়াইট হাউস ওয়েবসাইটে তাঁর বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে স্টিফেন বলেছিলেন, ”প্রেসিডেন্ট আমাদের ভঙ্গুর শিল্প ভিত্তির পুনর্নির্মাণ এবং মার্কিন শ্রমিক ও ব্যবসাকে শীর্ষে রাখার জন্য বাণিজ্যিক নীতি অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমাদের সামরিক ও আর্থিক আধিপত্যকে হালকাভাবে নিলে হবে না। ট্রাম্প প্রশাসন এর সংরক্ষণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

Advertisement

জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে স্টিফেন ৪১ পাতার ‘বিশ্বব্যাপী ট্রেডিং সিস্টেম পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহারকারীর নির্দেশিকা’ রচনা করেন। এই নির্দেশিকাকেই মাথায় রেখেই শুল্কনীতির পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই নির্দেশিকাতেই দাবি করা হয়েছে, শুল্ককে কৌশ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। এবং অন্যান্য দেশের বাজারে মার্কিন রপ্তানির নিরাপদ প্রবেশাধিকারের শর্ত তৈরি করবে। পরবর্তী সময়ে সেই নির্দেশিকা মেনেই এগিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে আলোচনাতে উঠে আসছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্থনীতিবিদও।

হোয়াইট হাউসের অধীশ্বর হওয়ার পরই শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এশিয়ার দেশগুলি তো বটেই, ট্রাম্পের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির উপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। এই কর প্রযোজ্য হচ্ছে, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, গাড়ি-সহ আরও নানা সামগ্রীতে। এর পাশাপাশি ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে আরও বহু পণ্যে। যদিও বুধবার গভীর রাতে বর্ধিত শুল্কহার আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে চিন নিয়ে একেবারে উলটো অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সবমিলিয়ে ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন চিনের উপরে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement