প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গুলিতে নিহত হলেন এক পাক (Pakistan) সাংবাদিক। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের সুক্কুর শহরের হিন্দু সাংবাদিক অজয় লালওয়ানিকে সেলুনে ঢুকে গুলি করে মারল আততায়ীরা। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বছর তিরিশের যুবকের মৃত্যুর পরে শুরু হয়েছে সমালোচনা। উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়াও (Social Media)।
ঠিক কী হয়েছিল? রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার সেলুনে চুল কাটতে গিয়েছিলেন অজয়। সেই সময় আচমকাই ঘটনাস্থলে হাজির হয় দুটি বাইক ও একটি গাড়ি। পরপর গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় ওই সাংবাদিককে। পরের দিন হাসপাতালে তিনি মারা যান। ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে এক স্থানীয় মুসলিম রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে।
কিন্তু কেন এভাবে খুন হতে হল অজয়কে? ব্যক্তিগত শত্রুতাকে মোটিভ হিসেবে দাবি করেছে এক পাক সংবাদপত্র। কিন্তু মৃত সাংবাদিকের বাবা দিলীপ কুমারের দাবি, তাঁদের পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেল ও উর্দু সংবাদপত্রে সাংবাদিকতা করা অজয় বরাবরই পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে সরব ছিলেন। হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে খুন হতে হল কিনা প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।
পাকিস্তানে সাংবাদিক হত্যা কোনও নতুন ঘটনা নয়। গত এক দশকে অন্তত ৬০ জন সাংবাদিককে খুন হতে হয়েছে সেদেশে। এবার অজয়ের খুন নিয়ে সরব হয়েছেন অন্য সাংবাদিকরা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়ে মিছিল করেছেন সাংবাদিকদের একটি গোষ্ঠী। পাকিস্তানের দৈনিক ‘দ্য ডন’-এর দাবি, আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সদস্য। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যে, পরপর দু’দিন জনজীবন স্তব্ধ সুক্কুর শহরে। ওই উত্তেজনার আবহেই দেহ দাহ করা হয়েছে অজয়ের। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য লালচাঁদ মালহি। তিনি বিষয়টিকে ‘গভীর উদ্বেগের’ বলে মন্তব্য করে এর দ্রুত বিচারের দাবি করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.