সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে হংকংয়ে ক্রমশই জোরদার হচ্ছে সরকার বিরোধী আন্দোলন। চিনের কাছে হংকংয়ের হস্তান্তর বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকেই রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় পাশ কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদবৃদ্ধির বিল]
এদিন বিক্ষোভকারীরা হংকং শহর দীর্ঘ সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাঁরা পার্লামেন্টের সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। শত শত বিক্ষোভকারী কালো পোশাক পরে এবং কালো মুখোশে মুখ ঢেকে প্রতিবাদে শামিল হন। তাঁদের মাথায় ছিল কালো টুপি। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী হঠাৎই লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের কাচের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ নামানো হয়। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর হংকং পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থেকে পার্লামেন্ট পুনরুদ্ধার করে।
দীর্ঘ দেড়শো বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই অঞ্চলটি চিনের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই প্রত্যর্পণ দিবসের ২২ বছর পূর্তিতে আন্দোলনে নামেন গণতন্ত্রকামী মানুষ। বর্তমানে হংকং চিনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল পর্যন্ত অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু সেই আইনকে উপেক্ষা করে জুন মাসে হংকংয়ের বর্তমান চিনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম একটি প্রত্যর্পণ বিল আনেন। অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত ওই বিলের বিপক্ষে হংকং জুড়ে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। চিনের সঙ্গে কোনও পরম সমঝোতার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দাবি, বেজিংয়ের শাসক কমিউনিস্ট দলের কাজে আদৌ সন্তুষ্ট নন সেদেশের মানুষ। অভিযোগ, শাসক কমিউনিস্টদের কাছে মানবাধিকারের কোনও মূল্য নেই। তাই কোনও অপরাধীকেই চিনের হাতে তুলে দেওয়া ঠিক হবে না। তাছাড়া এই প্রত্যর্পণ বিল পাস হলে হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চিনের হস্তক্ষেপের সুযোগ আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার অর্থহীন হয়ে দাঁড়াবে। এই জনবিরোধী বিল বাতিল করার দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ।
[আরও পড়ুন: কিমের দেশে ট্রাম্প, ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে কাটতে চলেছে পারমাণবিক জট!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.