সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Corona) -র দাপট দেখে থমকে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তবে আশার আলো দেখাচ্ছেন এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া মানুষরা। তাঁদের দেখেই নতুন করে উদ্যম খুঁজে পাচ্ছেন আতঙ্কিত মানুষ। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্ক মানুষদের মৃত্যুর হার বেশি হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উলটো ঘটনার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন চিনের ১০০ বছরের বৃদ্ধের পর গত বুধবার ইটালির রিমিনি শহরেও করোনাকে কুপোকাত করে জয়ী হয়েছেন ১০১ বছরের এক বৃদ্ধ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে এবার সুইজারল্যান্ডেও। এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক সপ্তাহ কাটানোর পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৫ বছরের বৃদ্ধা। সুইজারল্যান্ডের ওই মহিলার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই আশার আলো ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্কিতদের মধ্যে।
দিন দশেক আগে আচমকা জ্বরে পড়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের পশ্চিমদিকে অবস্থিত লে লোকলে শহরের বাসিন্দা জের্ট্রুড ফ্যাটন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরীক্ষা করার পরেই তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর থেকে একসপ্তাহ আইসোলেশন ওয়ার্ডেই ভরতি ছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও জীবনের প্রতি টানেই করোনকে কুপোকাত করে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। আর শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলাম। এর মাঝে আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করে আমার নাতি-নাতনিরা। সেখানে পরীক্ষা করার পর জানা যায় যে আমার শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এরপর অ্যান্টি বায়োটিক ও ম্যালেরিয়া সারাতে ব্যবহার হওয়া ওষুধ ক্লোরোকুইন দেওয়া হয় আমাকে। তবে আমি ভয় পাইনি। কারণ আমার নাতি-নাতনি ও তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে আরও বেশিদিন বাঁচতে চেয়েছিলাম আমি। তাঁদের সঙ্গে আরও সময় কাটাতে চেয়েছিলাম। এই কারণে ৯৫ বছর বয়সেও বাঁচার ইচ্ছা চলে যায়নি আমার। আর সেটাই ফের জীবনে ফিরিয়ে আনল।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.