ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। সীমান্তে জারি গুলির লড়াই। উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। রাশিয়া-ইউক্রেন, গাজার পর এবার এই সংঘাতেও ‘শান্তির দূত’ হিসাবে এগিয়ে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হিংসা থামানোর আহ্বান জানিয়ে বললেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অশান্তি থামাতে তিনি সব রকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে ৬ মে (মঙ্গলবার) গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গার জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরের দিন অর্থাৎ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিদেশসচিব ও সেনা। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই আঘাত হানা হয়েছে। তারপরই সীমান্তে নির্লজ্জতার সব সীমা অতিক্রম করে নিরীহ নাগরিকদের টার্গেট করছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে লাগাতার গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে আমেরিকা। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বললেন, “যা হচ্ছে তা খুবই ভয়ংকর। আমি দুই দেশের সঙ্গেই মানিয়ে নিতে পারি । আমি দু’জনকেই খুব ভালো করে চিনি। তাই আমি চাই এই হিংসা থামুক। আমি সব রকমভাবে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত।” অপারেশন সিঁদুর পাকিস্তানে আঘাত হানার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, “এটা লজ্জাজনক। আমি চাই দু’দেশের এই সংঘাত তাড়াতাড়ি থামুক। অনেকদিন ধরে ওরা লড়াই করছে। এই সংঘাত বহু দশক-শতাব্দী ধরে চলে আসছে।”
কয়েকদিন আগেই পহেলগাঁও হামলা নিয়ে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “ভারত আর পাকিস্তান দু’জনেই আমার খুব কাছের। আমার বন্ধু। কাশ্মীরে তাদের লড়াই ১০০০ বছর ধরে চলে আসছে। এই লড়াই আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। এছাড়া ওই সীমান্তে ১৫০০ বছর ধরে উত্তেজনা তৈরি হয়ে আছে। আমার মনে হয়, দুই দেশই পারবে এই সমস্যার সমাধান করতে। আমি নিশ্চিত। আমি দু’দেশের রাষ্ট্রনেতাকেই চিনি। তাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই মেটাতে হবে। তবে এই জঙ্গি হামলা নিন্দনীয়। এগুলো মানুষ প্রাণ হারালেন।” বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় হামাস-ইজরায়েল সংঘাত এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে নিজে থেকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছেন ট্রাম্প। এবার ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে হোয়াইট হাউস কোন পন্থা অবলম্বন করবে সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.