সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি সবসময় দেশের আইনকে মেনে চলেছেন। ভারত ছেড়ে পালিয়ে যাননি। কেবল চিকিত্সা করাতেই আমেরিকা উড়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভারত থেকে তদন্তকারীদের ‘আমন্ত্রণ’ও জানিয়েছিলেন। ভারতে নিজের প্রত্যার্পণ ঠেকাতে ডোমিনকা হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করে একথা জানালেন পলাতক হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)। দীর্ঘ আটপাতার হলফনামাও জমা দিয়েছেন তিনি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হলফনামায় চোকসি বলেন, ‘আমি ভারতীয় আধিকারিকদের কথাবার্তা বলার জন্য এখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে চলা যেকোনও তদন্তের ব্যাপারে তাঁদের যা কিছু জিজ্ঞাস্য ছিল, সেই সমস্ত প্রশ্ন করার অনুরোধও জানাই।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, “আমি ভারতের কোনও আইনকানুন ভাঙিনি। দেশের সমস্ত আইন মেনেই চলি। তিন বছর আগে চিকিত্সা করানোর উদ্দেশ্যে যখন আমেরিকা উড়ে যাই, তখন আমার বিরুদ্ধে দেশের কোনও সংস্থাই ওয়ারেন্ট জারি করেনি।’
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দেশ ছাড়েন চোকসি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই হীরে ব্যবসায়ীর নামে আর্থিক তছরুপ ও প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে সেই দ্বীপেই আস্তানা গেড়েছেন মেহুল চোকসি। সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত চোকসি আর ভারতে পা রাখেননি। কিন্তু সম্প্রতি অ্যান্টিগুয়া থেকে কিউবা যাওয়ার পথে তাঁকে ডোমিনিকায় আটক করা হয়। জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপরই চোকসিকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রও। পাঠানো হয় আট সদস্যের বিশেষ দল। যার মধ্যে রয়েছেন দু’জন সিবিআই অফিসারও। এর মধ্যেই আবার ডোমিনিকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলাও দায়ের করে সেদেশের প্রশাসন। কিন্তু সেই মামলার শুনানিও আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় ডোমিনিকার হাই কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে দু’পক্ষই ঠিক করুক কী ভাবে সওয়াল-জবাব এগোবে। আপাতত সে দেশের জেল হাসপাতালেই রয়েছেন পলাতক এই হীরে ব্যবসায়ী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.