সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। রাজকোষ গড়ের মাঠ। এদিকে অপারেশন সিঁদুরের পর ক্রমশ বাড়ছে ভারতের সঙ্গে সংঘাত। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরাসরি যুদ্ধ হয়তো সময়ের অপেক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে ফের আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফের দ্বারস্থ পাকিস্তান। শনিবার আইএমএফ বোর্ডের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে ইসলামাবাদ। আপাতত সেই বৈঠককেই ‘পাখির চোখ’ করেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে ভারত আইএমএফকে লাগাতার চাপ দিয়ে চলেছে যেন প্রতিবেশী দেশকে আর অর্থসাহায্য না করা হয়। অন্যথায় সেই অর্থে পরোক্ষে হাত মজবুত হবে আইএসআই এবং লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির।
বিপদের দিনে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বারবার আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। এবার ফের তারা চাইছে ১.৩ বিলিয়ন ডলার। ‘ধার করে ঘি খাওয়া’র মতো ওই অর্থেই দেশের মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে চায় তারা। আর সেই নিয়েই শনিবারের বৈঠক। সেখানে আইএমএফ পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। এর আগে ২০২৩ সালে আইএমএফের থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার ধার করেছিল ইসলামাবাদ। পরে ২০২৪ সালে আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় তারা। এবার ফের ২০২৫ সালেও ঋণ চাইছে শরিফ সরকার।
কিন্তু ভারত এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি, ওই টাকা দেওয়ার অর্থ পরোক্ষে লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির হাত শক্ত করা। এখন দেখার, গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এবং ভারতের আর্জি বিবেচনা করে কোন পথে হাঁটে আইএমএফ।
অপারেশন সিঁদুরের পর ক্রমশ বাড়ছে ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত। বুধবার রাতে ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারতীয় সেনার তৎপরতায় ব্যর্থ হয়েছে পাক হানার চেষ্টা। এই মুহূর্তে ভারতের পক্ষে পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনর্দখল করার সেরা সময় বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। অন্য একটা অংশের দাবি, ভারতের উচিত সাবধানে পা ফেলা। কেননা এমন কোনও পদক্ষেপ করলে কূটনৈতিক বিশ্বে নয়াদিল্লির বিরোধিতা করতে পারে চিন, এমনকী আমেরিকাও। ফলে শেষপর্যন্ত সবদিক বিবেচনা করেই এগোতে হবে। আপাতত কোন পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি, সেদিকে তাকিয়ে সকলে। পাশাপাশি এই প্রশ্নও উঠছে- ঋণ নিয়ে আদৌ লড়াই চালাতে পারবে পাকিস্তান?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.