সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবিংশ শতাব্দীতে যুদ্ধের হাতিয়ারগুলির মধ্যে অন্যতম কূটনীতি ও বিদেশনীতি। একটি গুলি না চালিয়েও, এই দুইয়ের সঠিক মেলবন্ধনে অনায়াসে হাসিল করা যায় অভিপ্রেত ফল। ভারতের ইতিহাসে এর সবথেকে বড় উদাহরণ হচ্ছে, ১৯৭১-এর যুদ্ধে মার্কিন হুমকির মুখে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা। সম্প্রতি লাদাখে চিনকে (China) জবাব দিতে তাইওয়ানকে তুরুপের তাস করেছে ভারত (India)।
জানা গিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত হয়ে আসছেন তাইওয়ানের (Taiwan) প্রবীণ কুটনীতিবিদ বাউশুয়ান গের। গত সাত বছর ধরে নয়াদিল্লিতে এই পদে যিনি ছিলেন, সেই তেন চুং কুয়াং উপবিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে নিজের দেশে ফিরে যাচ্ছেন। কুটনীতিবিদের একাংশের মতে, নয়া দূত নিযুক্ত করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে এক নয়া দিশা দিতে চাইছে তাইওয়ান। বাণিজ্য থেকে শুরু করে কৌশলগত সম্পর্ক আর মজবুত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি-তাইপেই। তবে এই বিষয়ে অনেকটাই সাবধানী মোদি সরকার। কয়েকদিন আগেই দলাই লামার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাননি প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লাদাখে চলা সংঘাতের আবহে ‘এক চিন নীতি’তে আঘাত করতে চাইছে না কেন্দ্র। এই মুহূর্তে লাদাখ সংলগ্ন সীমান্তকে এপ্রিল মাসের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই হচ্ছে ভারতের প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু গোপনে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার কাজটিও চলছে। এর ফলও মিলেছে। গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় রক্তপাতের পর খোলাখুলি চিনের সম্প্রসারণবাদের নিন্দা করেছে তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম।
এদিকে, চিনকে নজরে রেখে ভারত-তাইওয়ান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছেন বাউশুয়ান গের বলেই মনে করছেন ওনেকে। এর আগে তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। আমেরিকা এবং ব্রিটেনেও তিনি দৌত্য করেছেন। চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের ধারাবাহিক টানাপড়েনের মধ্যে তিনি বহু ক্ষেত্রেই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। সব মিলিয়ে চিনের দুর্বল স্নায়ুতে চাপ দিয়েই এবার নিজের কাজ উদ্ধার করতে চইছে নয়াদিল্লি বলে মত কুটনীতিকদের একাংশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.