সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ, শুক্রবারই অত্যাধুনিক ব্রহ্মস মিসাইল হাতে পেল ফিলিপিন্স। ভারত থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচ গেল সেদেশে। দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিপত্য স্থাপনে মরিয়া চিন। ফলে ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদে জড়িয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের চাপ বাড়িয়ে দেশটিকে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস মিসাইলের জোগান দিল নয়াদিল্লি।
এএনআই সূত্রে খবর, ভারতীয় বায়ুসেনার সামরিক বিমানে ব্রহ্মস মিসাইল ও লঞ্চারগুলো পাঠানো হয়। ফিলিপিন্সের নৌসেনার হাতে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তুলে দেন ভারতীয় আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁরা মিষ্টিমুখ করান সেদেশের নৌসেনা কর্তাদের। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত ও ফিলিপিন্সের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ব্রহ্মস মিসাইলের ৩টি ব্যাটারি রপ্তানি করার কথা ছিল নয়াদিল্লির। ফিলিপিন্সের মতো আর্জেন্টিনা-সহ আরও কয়েকটি দেশ ভারত থেকে এই অত্যাধুনিক মিসাইল কিনতে আগ্রহী।
#WATCH | Indian officials offering sweets to the Philippines Marine Corps officers on the delivery of the BrahMos missile to the Philippines under an export order of USD 375 million. pic.twitter.com/qzhLsMxOLu
— ANI (@ANI) April 19, 2024
রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ব্রহ্মস মিসাইল। এর গতিবেগ ২.৮ ম্যাক। অর্থাৎ শব্দের থেকেও তিনগুণ দ্রুতগতিতে মিসাইলটি উড়তে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে ব্রহ্মস। যে কোনও টার্গেটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হামলা চালাতে পারে। একবার এই মিসাইল লঞ্চ করা হয়েছে গেলে শত্রুর পক্ষে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব। এবার এহেন ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেল ফিলিপিন্স। মিসাইলটির নির্মাণকারী সংস্থা ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ফিলিপিন্স। প্রায় ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের এই চুক্তিই আন্তর্জাতিক অস্ত্রের বাজারে ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’-এর প্রথম পদক্ষেপ ছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ভারত ও রাশিয়াত যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’। ব্রহ্মপুত্র ও মস্কো নদীর নামে নামকরণ করা হয় সংস্থাটির। এদেরই তৈরি অত্যাধুনিক ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। ২০০৬ সালে ভারতীয় স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৪০০ কিলোমিটার করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিপিন্স উপকূলে ব্রহ্মস মোতায়েন থাকলে চাপে পড়বে লালফৌজ। কারণ, অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর আওতায় চলে আসবে চিনা রণতরীগুলো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.