সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার মধ্যস্থতায় সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। গত ক’দিনে কার্যতই যুদ্ধ পরিস্থিতি চলেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সীমান্তে লাগাতার উসকানি দিয়েছে শাহবাজ শরিফের সেনা। শোনা গিয়েছে ‘ফতেহ-২’ মিসাইলের কথা। ‘ভূমি থেকে ভূমি’ দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই শনিবার ভোরে ভারতে হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। যদিও হরিয়ানার সিরসায় পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্রকে চূর্ণ করে দিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। জেনে নেওয়া যাক কী এই ফতেহ-২?
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ফতেহ-২-এর প্রথম পরীক্ষা চালায় পাক সেনা। পাকিস্তানের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম। এমনকী ‘এস ৪০০’-এর কবচ, আকাশ প্রতিরক্ষাকে ভেদ করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। অত্যাধুনিক নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে এতে। কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এমনকি এর ওড়ার কায়দা এতটাই অত্যাধুনিক যে কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একে চিহ্নিত করতে পারবে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্রও বহন করতে সক্ষম। শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী ফতেহ টু প্রচণ্ড শক্তিশালী। শক্তিতে ফতেহ-১-এও পিছনে ফেলে দেওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরির দাবি করে ইসলামাবাদ। যদিও নানা সূত্রেই দাবি, এর নির্মাণের সঙ্গে জড়িত চিন।
লাগাতার হামলায় রীতিমতো কোণঠাসা পাকিস্তান শনিবার ভোরে মরিয়া হয়ে ভারতে হামলার চেষ্টা করে। যদিও পাকিস্তানের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদর্শন বা এস-৪০০। পাকিস্তানের ছোড়া ফতেহ-২ মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মাটিতে। যদিও এবিষয়ে ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার জবাবে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করতে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে ভারত। হামলা চালানো হয় ৯টি অঞ্চলে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি ঘাঁটি। এরপর শুরু হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। লাগাতার উসকানি দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। তবে তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে সেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.