সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব উড়িয়ে দিল ভারত। চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদে আপাতত কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ চাইছে না নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়ে তা সাফ করে দিল বিদেশমন্ত্রক। একটি দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী দেশ হিসেব পড়শিদের সঙ্গে বিবাদ মেটানোর ক্ষমতা যে ভারতের রয়েছে তা পরোক্ষ ট্রাম্প বুঝিয়ে দিল দেশ।
লাদাখে ‘লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’-এ চিনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব সাফ জানিয়েছেন, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোস করা হবে না। ভিডিও কনফারেন্সে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রীবাস্তবের ইঙ্গিতবহ মন্তব্য, “আমরা বেজিংয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করছি। আশা করছি দুই দেশের মধ্যে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটে যাবে।এরজন্য কোনও তৃতীয় পক্ষের মদতের প্রয়োজন হবে না। ভারত সবসময় শান্তির পথে চলতে বিশ্বাসী। চিন সীমান্তে আমাদের সৈনিকরা নির্দেশ মতোই এই পথে কাজ করে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে কোনও সমঝোতা করি না আমরা।” এদিকে, ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে সরাসরি মুখ খলেনি বেজিং। তবে চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস একটি প্রতিবেদনে লিখেছে। নিজেদের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেবে ভারত ও চিন। এর জন্য কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। দুই দেশেরই উচিত ‘সুযোগ সন্ধানী’ আমেরিকা থেকে দূরে থাকা।
সম্প্রতি, লাদাখ ও সিকিম সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। একাধিকবার সংঘাতেও জড়িয়েছে দুই দেশের জওয়ানরা। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে গালওয়ান উপত্যকায় গত দু’সপ্তাহে ১০০টিরও বেশি তাঁবু খাটিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)। প্যাংগং সো আর গালওয়ান উপত্যকায় অতিরিক্ত দু’ থেকে আড়াই হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। গালওয়ানে বেশ কয়েকটি বাঙ্কার তৈরিরও চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিতর্কিত এলাকাগুলিতে সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে ভারতও। ফলে, ২০১৭-র ডোকলাম পরিস্থিতির পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও চিনের মধ্যে ফের চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.