ফাইল ফোটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় দাঁড়িয়ে গত বছর কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তুরস্ক (Turkey) -এর রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়েপ এরদোগান। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। তারপর থেকেই ভূস্বর্গের বিভিন্ন প্রান্তে তুরস্কের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কর্মতৎপরতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, সমাজসেবামূলক কাজের নামে তারা অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করছে বলেই অভিযোগ উঠছে। এরপরই ওই সংস্থাগুলির উপরে নজরদারি চালাতে শুরু করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
এপ্রসঙ্গে ভারতের জাতীয় সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন আধিকারিক জানান, ভূস্বর্গে কর্মরত তুরস্কের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি (NGO) নিজেদের সীমারেখা পেরিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই ওই সংস্থাগুলির উপর নজরদারি চালাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা। পাশাপাশি অলাভজনক ওই সংস্থাগুলিতে যুক্ত মানুষদের সঙ্গে তুরস্কের প্রশাসন কতটা যোগাযোগ রাখছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিদেশ থেকে আসা টাকা কোন খাতে ব্যবহার নজর রয়েছে তার উপরেও।
গত ফেব্রুয়ারিতে অবরুদ্ধ কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে থাকার কথা ঘোষণার পর ফের গত ১ আগস্ট এবিষয়ে আলোচনা হয় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়েপ এরদোগানের। এরপরই পাকিস্তান প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে টুইট করে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়পে এরদোগান টেলিফোনে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এসময় কাশ্মীর-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন তারা। প্রেসিডেন্ট আলভি এরদোগানকে বলেন, করোনার মধ্যেও জম্মু ও কাশ্মীরে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। তার ভিত্তিতে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিল্লিতে অশান্তির সময়ও ভারতকে আক্রমণ করেছিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি। আঙ্কারার একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতে এখন মুসলিমদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হচ্ছে। গণহত্যার ঘটনা ঘটছে। আর এর সব ঘটনা ঘটাচ্ছে হিন্দুরা।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.