সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের মাথাব্যথা বাড়াতে গৃহবন্দি অবস্থাতেও সক্রিয় হাফিজ সইদ। ২৬/১১ হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হাফিজের অঙ্গুলিহেলনে কাজ শুরু করে দিল তার অনুগামীরা। পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মীরের স্বাধীনতা চেয়ে চাঁদা সংগ্রহ করছে তারা। ফলাহ-ই-ইনসানিয়তের নামের এক সংগঠনের ব্যানারে চলছে এই ভারত বিরোধী কাজ। প্রকাশ্যে এসব চললেও, পাক প্রশাসনের কাছে এসব নিয়ে নাকি কোনও খবরই নেই।
পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ভাষাতেই নওয়াজ শরিফ প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল। হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছিল জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তে রাশ টানতে না পারলে ফল ভাল হবে না। দুই শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের বার্তা পাকিস্তান যে গুরুত্ব দিচ্ছে না তা স্পষ্ট হয়ে গেল সাম্প্রতিক একটি ঘটনায়। কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে সমানভাবে সক্রিয় হাফিজ সইদের একাধিক সংগঠন। মার্কিন চাপে পাক প্রশাসন হাফিজকে গৃহবন্দি করলেও, দিব্যি নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী। গত ফেব্রুয়ারিতে গৃহবন্দি হওয়ার পর ছক পাল্টে ফেলে হাফিজ সইদ। ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত নামে আরও একটি সংগঠনকে হাফিজ ভারতবিরোধী কার্যকলাপে নামিয়ে দেয়। যারা রাওয়ালপিণ্ডি, ইসলামাবাদ, করাচির মতো পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে চাঁদা সংগ্রহ করছে। চাঁদা আদায়ের জন্য এই সংগঠন কাশ্মীরের স্বাধীনতার সওয়াল করেছে। ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের এক সদস্যের বক্তব্য, কাশ্মীরকে ভারতমুক্ত করতে বিপুল অর্থ প্রয়োজন, তার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। গত কয়েক দিনে ফালাহর ব্যানারে বিপুল অর্থ সংগ্রহ হয়েছে। এই অর্থ কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হবে।
গত সপ্তাহে সৈয়দ সালাউদ্দিনকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন সক্রিয়তা দেখালেও বসে নেই সালাউদ্দিন। বেনজিরভাবে ভারতে যে কোনও সময় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সালাউদ্দিনের আস্ফালন ও পর্দার আড়ালে থেকে হাফিজ সইদের সংগঠনের সক্রিয়তা নয়াদিল্লির চিন্তা বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.