সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই যুদ্ধের দকে এগিয়ে যাচ্ছে ইরান ও আমেরিকা। বরাবরই সম্পর্ক আদায় কাচকলায় থাকেলও পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপের দিকে গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে। একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকার সরে যাওয়া ও জেনারেল সোলেমানির হত্যায় কূটনীতির সমস্ত রাস্তায় কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এহেন সময়ে কাতারে (Qatar) মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের (Iran) হামলার আশঙ্কা জোরাল হচ্ছে।
কাতারের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, কাতারের আল-উদেইদ বায়ুসেনা ঘাঁটির উপর নজর রেখেছে ইরানের নউর-১ (Nour-1) স্যাটেলাইট। ওই বেসে কাতারের সরকারি বাহিনী ছাড়াও রয়েছে মার্কিন সেনার সদর দপ্তর এবং মার্কিন বায়ুসেনার সেন্ট্রাল কম্যান্ড। আর সেখানেই নজরদারি চালাচ্ছে ইরানি উপগ্রহ। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখানে মিসাইল হামলা চালাতে পারে ইরান। গত এপ্রিলে নউর-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল তেহরান। সে সময়ই তার প্রতিবাদ করেছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। তাঁর দাবি ছিল, ওই স্যাটেলাইট ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের অংশ। সেই দাবি যে খানিকটা হলেও সত্যি এবার তা স্পষ্ট হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সংযুক্ত আরব অমিরশাহীর আল ধাফরা বিমানঘাঁটির কাছেই আছড়ে পড়ল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। তবে ওই হামলায় সেখানে থাকা ভারতের রাফালে যুদ্ধবিমান ও পাইলটদের কোনও ক্ষতি হয়নি। ওই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলির নিরপত্তা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। সিএনএন সূত্রে খবর, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ‘প্রফেট মহম্মদ ১৪’ নামের সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ইরান। মহড়ার অংশ হিসেবে গতকাল স্ট্রেট অফ হরমুজে একটি নকল মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে মিসাইল হামলা চালানোর অভ্যাস করে ইরানে রেভলিউশনারি গার্ড বাহিনী। তখনই মিসাইলগুলি ছোঁড়া হয়। তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের তিক্ততা এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নামেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.